কুড়িগ্রাম: জেলা শহরের এক ছাত্রাবাসে গলায় ফাঁস দিয়ে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ভোকেশনাল মোড় এলাকার অর্ণব ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী মৃত্যুঞ্জয় রায় (২৪) কুড়িগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ পর্বের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, দুই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সেই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় শুরু হয় পারিবারিক ও আইনি জটিলতা। নিহতের শাশুড়ি আইনজীবী হওয়ায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদে রূপ নেয় এবং তালাকের পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মৃত্যুঞ্জয়।
অর্ণব ছাত্রাবাসের কন্ট্রোলার আরিফুল ইসলাম জানান, পলিটেকনিকের পরীক্ষা শেষে গত বৃহস্পতিবার অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যান। ছাত্রাবাসে মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী ছিলেন। দুপুরে সহপাঠী নাদিম ওয়াজেদ খাবারের জন্য ডাকলেও কোনো সাড়া না পেয়ে ঘুমিয়ে আছে ভেবে ফিরে যান। পরে আরিফুল ইসলাম প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে এসে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ করেন। এক পর্যায়ে জানালা ভেঙে ঘরের ভেতরে মৃত্যুঞ্জয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এরপর ছাত্রাবাসের মালিক ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা খুলে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিক সুরতহাল মতে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।