পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে সেনাদের একাংশ দাবি করেছে যে, তারা রাষ্ট্রপতি প্যাট্রিস তালোনকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ঘোষণা দেন তারা। তবে প্রেসিডেন্ট কার্যালয় বলেছে- তালোন নিরাপদে আছেন। খবর বিবিসির।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, বেনিনের ফরাসি দূতাবাস জানিয়েছে, কোটোনো শহরে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের কাছে গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সৈন্যরা ঘোষণা দিয়েছে, প্যাট্রিস তালোন আর দেশের প্রেসিডেন্ট নেই। তারা সংবিধান স্থগিত ও স্থল সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি দেশের আকাশসীমা বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছেন। সেনা দলটি নিজেদের মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন (সিএমআর) হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।
অপরদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেগুন আদজাদি বাকারি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘টিভি স্টেশনে থাকা সৈন্যদের ছোট দলটিতে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না। তাদের বড় একটি অংশ এখনো সরকারের অনুগত এবং তারা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এক ব্যক্তি এএফপিকে বলেছেন, ‘গুটিকয়েক মানুষের ছোট দলটি শুধু টেলিভিশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। শহর ও দেশ সম্পূর্ণ নিরাপদ।’ তবে রাষ্ট্রপতি এখন ঠিক কোথায় আছেন তা স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলেননি।
কোটোনোর ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে এবং শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা ভারী সামরিক যান দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১০ বছর ধরে বেনিনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্যাট্রিস তালোন। আগামী এপ্রিলে তার ক্ষমতা ছাড়ার কথা রয়েছে।
সাবেক ফরাসি উপনিবেশ বেনিনকে আফ্রিকার স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম তুলা উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। তবে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।