এক বছর আগে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে পরাজিত করেছিল বিদ্রোহী বাহিনী। এ উপলক্ষ্যে দামেস্কের উমাইয়া স্কয়ারে আনুষ্ঠানিক উদ্যাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার সিরিয়াবাসীকে উমাইয়া স্কয়ারের জানালায় সবুজ-সাদা-কালো জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে বিজয়ের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করতে দেখা গেছে।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক দখলের পর ১৪ বছরের পুরোনো বাথ পার্টির শাসনের পতন ঘটে। আল-আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যান, সেখানে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়। জানুয়ারিতে আহমেদ আল-শারাকে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করা হয়।
সিরিয়ার জনগণ এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে নতুন করে একটি স্বাধীন, নিরাপদ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে।
রাজধানী দামেস্কের বাসিন্দারা বলছেন, ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদের শাসনামলে তারা যে কষ্টের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তার অবসান হয়েছে। তারা আত্মবিশ্বাসী যে নতুন প্রশাসন সিরিয়াকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে, বিশেষ করে স্বাধীনতা, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।
নতুন সরকার বিদ্যুৎ এবং বেসামরিক কর্মচারীদের বেতন সহ মৌলিক পরিষেবা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। একই সাথে নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনকে সরাসরি প্রভাবিত করে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
জুন মাস থেকে, বেসামরিক কর্মচারীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ২৫০,০০০ সিরিয়ান পাউন্ড (তৎকালীন প্রায় ১৫ ডলার) থেকে বাড়িয়ে ৭৫০,০০০ সিরিয়ান পাউন্ড (প্রায় ৬৫ ডলার) করা হয়েছে।
দেশের বিদ্যুৎ গ্রিডে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে, যা ১৪ বছরের বোমাবর্ষণের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আলেপ্পো, হোমস এবং দামেস্ক সহ প্রধান শহরগুলো ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে নিরবচ্ছিন্ন ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেয়েছে।
সেদনায়া, মেজ্জেহ সামরিক কারাগার এবং খতিব সহ সিরিয়ার কুখ্যাত কারাগারগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের একটি কমিশন বলেছে যে আল-আসাদের পতনের পর থেকে সহিংস ঘটনাগুলো নতুন মেরূকরণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।