নোয়াখালী: সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও আয় বহির্ভূত সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে নোয়াখালীতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাহার (৫০) এর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে দুদক নোয়াখালীর উপসহকারী পরিচালক মো. জাহেদ আলম বাদী হয়ে দুদক বিশেষ আদালতে এই মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বাহার সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং তিনি একই ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।
দুদক জানায়, আনোয়ার হোসেন বাহার ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চলতি বছরের ১২ মে চেয়ারম্যান নিজের স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা এবং আয়ের উৎস উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। গত ৩০ জুন তা যাচাই অনুসন্ধানের জন্য দুদক নোয়াখালী-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
যাচাই অনুসন্ধানকালে দেখা যায় মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাহার দুর্নীতি দমন কমিশনের নিকট দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নামে একটি ২ তলা ভবন এবং বিপুল পরিমাণ জমিজমাসহ মোট ৪৭ লাখ ৩২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ২১ লাখ ৫৭ হাজার ৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদ’সহ মোট ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার ৪১ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১০ লাখ ৭৭ হাজার ১৩২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ৩৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে নিজ নামে ভোগ দখলে রাখার তথ্য গোপন করেম। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদক নোয়াখালীর কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইদ্রিস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আসামির বিরুদ্ধে মামলা পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’