ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার পর স্কুল ড্রেস পড়ে পালিয়ে গেছেন গৃহকর্মী। পুলিশ বলছে, একমাত্র গৃহকর্মীকেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহ করা হচ্ছে। কি কারণে হত্যা করেছে তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে ওই গৃহকর্মীকেও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার ইবনে মিজান সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
নিহতরা হলেন- মালাইলা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে (১৫)।
উপ কমিশনার ইবনে মিজান বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের ৩২/২/এ বাসায় সপ্তম তলায় যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে (মর্গে) নেওয়া হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গৃহকর্ইমীকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ ওই বাসায় গৃহকর্মীসহ চারজন থাকতেন। সকালে গৃহকর্তা কাজে গেলে বাকি তিনজন ওই বাসায় ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর গৃহকর্মীকে নিহত স্কুল শিক্ষার্থী নাফিসা বিনতে আজিজের ড্রেস পড়ে এবং কাঁধে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যেতে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এ সময় তার মুখ ঢাকা ছিল। তবে সে যেখানেই যাক পুলিশ তদন্ত করছে। তাকে ধরতে অভিযানও চলছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের ওই বাসায় স্ত্রী মালাইলা আফরোজ ও মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে নিয়ে আজিজুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বাস করতেন। সকালে তিনি কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। দুপুরে ফিরে এসে দেখেন স্ত্রী ও মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। কাজের মেয়েকে না পেয়ে দ্রুত পুলিশে খবর দেন। নিহত নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাসার গৃহপরিচারিকাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা কাজ করছি।’
এসি আরও বলেন, ‘মেয়ে নাফিসাকে জীবিত অবস্থায় পেলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়।’
পুলিশের অন্য একটি সূত্র বলছে, ‘ওই গৃহকর্মীর নাম আয়েশা। সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে। এ ছাড়া হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ধারালো ছুরি বাথরুমের বালতির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’ কাজের বুয়াকে ধরতে পারলেই প্রকৃত সত্যটা বেরিয়ে আসবে বলে জানায় পুলিশ।