ঢাকা: চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি মামলার অগ্রগতি তুলে ধরে আরও দুই মাস সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।
মামলাটিতে ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন গ্রেফতার আছেন। এদের মধ্যে ১৬ জনকে আজ আদালতে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তবে অসুস্থতার কারণে সাবেক এমপি ফারুক খানকে আদালতে আনা হয়নি।
এর মধ্যে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা ফরমাল চার্জ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। ইনুকে ঘিরে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে।
এ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল-১। জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে কারফিউ পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের ফরমাল চার্জ আমলে নিয়ে ১০ ডিসেম্বর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।