বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুরে হাইব্রিড জাতের টাইগার হট মরিচের ভালো ফলন ও দামে খুশি কৃষক। এ উপজেলায় হাইব্রিড মরিচের বাম্পার ফলনে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফলন পেয়ে আনন্দিত মরিচ চাষি পরিবারগুলো। উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধী ও বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় হাইব্রিড মরিচ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে শাজাহানপুর উপজেলায় সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন এবং বাজার মূল্য পেয়ে খুশি স্থানীয় কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের মরিচ চাষে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের হরিণগাড়ি গ্রামের মরিচ চাষি শাহিনুর রহমান ৮ থেকে ৯ বছর যাবত বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচের আবাদ করে আসছেন। এ বছর ২৪ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের টাইগার হট মরিচের চাষ করে বিগত বছরের চেয়ে সর্বোচ্চ ফলন পেয়েছেন। বাজারে চাহিদা থাকায় দামও পেয়েছেন বেশি। ২৪ শতক জমিতে চারা ক্রয়, রোপন, সার, সেচ ও শ্রমিক খরচসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। রোপনের মাত্র আড়াই মাসেই তিনি আড়াই লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। আগামী ৩ মাসে আরও আড়াই লাখ টাকার মরিচ বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তিনি।
একই রকম সফলতার মুখ দেখেছেন উপজেলা গোহাইল ইউনিয়নের বুলবুল আহমেদ। তিনিও ধান, আলু, সরিষার পাশাপাশি হাইব্রিড মরিচের চাষ করছেন। এবছর ১২ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের টাইগার হট মরিচ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন।
তিনি বলেন, এ বছর ১২ শতক জমি থেকে চারবারে ৯০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। তিনি আরও চার মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করবেন। হাইব্রিড মরিচ চাষে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
শাজাহানপুর উপজেলার শাহনগর সবজি নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, দেশে মরিচের চাহিদা মেটাতে এবং কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে হাইব্রিড মরিচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এজন্য মরিচ চাষের ক্ষেত্রে ভালো জাতের চারা, উপযুক্ত পরিচর্যা, পরিমিত সার, কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের মাঝে আধুনিক কলাকৌশল ছড়িয়ে দিতে হবে। বগুড়ার মরিচ দেশজুড়ে খ্যাত বলে দিনদিন চাষাবাদ বেড়েই চলেছে। এ জেলার মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়।
শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন এবং বাজার মূল্য পেয়ে খুশি স্থানীয় কৃষকরা।