ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘প্রার্থী নয়, প্রতীক দেখে ভোট দিন’ মন্তব্যকে ‘হাইলি প্রবলেমেটিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এক লাইভে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
লাইভে তিনি বলেন, একজন ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তারেক রহমানের এমন মন্তব্য দায়িত্বশীল নেতৃত্বের পরিচায়ক নয়। তিনি বলেন, ‘একজন এমপি নাগরিক ও রাষ্ট্রের মাঝে সেতুবন্ধনের কাজ করেন। প্রতীক কখনোই সেই সেতুবন্ধনের কাজ করে না। প্রতীক কেবলই একটি ‘সিম্বলিক’ বা অলংকারিক জায়গা।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ মন্তব্য করেন, প্রতীকের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেখালে অযোগ্য, অপ্রকৃতিস্থ বা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী হওয়ার প্রবণতা আরও শক্তিশালী হবে। অতীতের সংসদগুলোর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, অনেক সময় যাদের এলাকার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই, তারাও দলীয় প্রতীকের জোরে এমপি হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি যদি এমন একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করি যার জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা নেই কিন্তু শুধুই প্রতীক ধরে আছে, সে যদি যোগ্য না হয়, জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করতে না পারে, তাহলে সংসদে প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব আসবে না। প্রক্সি আসন তৈরি হবে।’
তারেক রহমানের বক্তব্যকে আরও সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রতীককেন্দ্রিক ভোট হলে জনগণ কখনোই সঠিক প্রতিনিধিকে বাছাই করতে পারবে না। তার ভাষায়, ‘তাহলে ৩০০ আসনে ৩০০টা প্রক্সি প্রার্থী নির্বাচিত হবে। জনগণের স্বার্থ উপস্থাপনের সুযোগ ক্ষীণ হয়ে যাবে।’
যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, অপরিচিত প্রতীকের মধ্যেও যদি একজন যোগ্য ও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রার্থী থাকেন, মানুষ তাকেই নির্বাচিত করা উচিত। বিপরীতে, প্রতীক যত পরিচিতই হোক-অযোগ্য, অদক্ষ, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থীরা কখনোই জনগণের প্রতিনিধি হতে পারেন না।
গতকাল ৮ ডিসেম্বর সকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ মন্তব্য করেন।