থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং লাখের অধিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
কম্বোডিয়া জানিয়েছে, তাদের নয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের চার সেনা নিহত এবং ৬৮ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে সীমান্তে এ সহিংসতা শুরু হয় থাইল্যান্ড মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গৃহীত যুদ্ধবিরতি স্থগিত করার পর। এর আগে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক থাই সেনা আহত হলে উত্তেজনা আবার বাড়তে থাকে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সংঘর্ষ থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছয়টি প্রদেশ এবং কম্বোডিয়ার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
থাই সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার জানায়, তাদের ট্যাংক সীমান্তের একটি ক্যাসিনোতে আঘাত হেনেছে, যা কম্বোডিয়ার অস্ত্রভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। এছাড়া থাই এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ান সামরিক অবস্থানে আক্রমণ চালিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, থাই বাহিনীর হামলার জবাবে তাদের সেনারা প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং গত অক্টোবরে গৃহীত উত্তেজনা কমানোর পদক্ষেপ পুনরায় কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।