Thursday 11 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্পা’র আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ: ১২ ভুক্তভোগী উদ্ধার, আটক ৬

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১০ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৪

বাধ্যতামূলক যৌনবৃত্তি করানো ৭ যুবক সিআইডির হাতে আটক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে ‘রিলাক জোন বিউটি পার্লার অ্যান্ড সেলুনে’ অভিযান চালিয়ে স্পা সেন্টারের আড়ালে বাধ্যতামূলক যৌনবৃত্তি করানো ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্কসহ ১২ জন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করেছে সিআইডি। আর এই ঘটনায় মানবপাচার চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে অল্প বয়স্ক নারীদের ঢাকায় এনে বাধ্যতামূলকভাবে যৌনবৃত্তিতে নিয়োগ করার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে সিআইডি। বনানীর ‘রিলাক জোন বিউটি পার্লার অ্যান্ড সেলুন’ এ অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে তাদেরকে আটক করা হয়। পাশাপাশি ১২ জন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ৭ জনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক।

বিজ্ঞাপন

জসীম উদ্দিন বলেন, বনানী এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ‘রিলাক জোন বিউটি পার্লার অ্যান্ড সেলুন’ নামীয় স্পা সেন্টারটি পরিচালনা করা হতো। অভিযানকালে ফ্ল্যাটটির একাধিক কক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসা ও অনৈতিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে জড়ো করে রাখা অল্পবয়স্ক নারীদেরকে দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে সিআইডি।

তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত নারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্চ বেতনের চাকরি, বিউটি পার্লারে নিরাপদ কাজ ও থাকার ব্যবস্থাসহ বৈধ কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে রাজধানী ঢাকায় আনা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে চাপ প্রয়োগ-ভয়ভীতি ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নানা কৌশলে স্পা সেন্টারের আড়ালে যৌনবৃত্তির কাজে বাধ্য করা হতো। ভবনের মালিক পলাতক অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেন অবৈধ ও অনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হবে জেনেও ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে উঠে আসে। এ বিষয়ে সিআইডি বাদী হয়ে বনানী থানার আজ বৃহস্পতিবার মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেছেন।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের প্রতারণামূলক চক্র সাধারণত গ্রামের দরিদ্র পরিবারের নারীদের টার্গেট করে থাকে, তাই এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সিআইডির মানবপাচার ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

আটক আসামিরা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), মো. রাকিবুল ইসলাম (২৫), গোলাম মোর্শেদ ওরফে সৌমিক (২৬), মো. রাব্বি ইব্রাহীম (২৩), জহিরুল (৩৩), শ্যামল কুমার (৪৭)।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর