ঢাকা: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের কক্ষকে চিকিৎসার জায়গা হিসেবে তুলে ধরতে হবে। এই জায়গাগুলোকে কখনও পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলবেন না। এটা চিকিৎসার জায়গা, সমস্যা সমাধানের জায়গা। সরকার থেকে নেওয়া বেতন জায়েজ করা তার কাজ।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তার আগে উপদেষ্টা চমেক হাসপাতালের ক্যাথ ল্যাবের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এছাড়া, এমবিবিএস ও বিডিএস-এর ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
নূরজাহান বেগম বলেন, ‘ডাক্তারদের ও নার্সদের রুম পার্টির জায়গা না, এটা দলের জায়গা না। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, এ জায়গাগুলোকে কখনও পার্টির অফিস বানিয়ে ফেলবেন না। এটা চিকিৎসার জায়গা, ডিসকাসনের জায়গা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই যেটা করেন, যাদেরকে বাইরে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে, একদিন যান, ডিজিটালে একটা উপস্থিতি দেন। দিয়া দুই ঘণ্টা বাদে চলে আসেন। সব খবর নিচ্ছি। যাওয়ার আগে ওগুলোর ব্যবস্থা করে যাব। এটা কিন্তু বলে যাচ্ছি, যারা এ সব কাজ করছেন, যারা ফুল টাইম অফিসে থাকছেন না, তাদের জন্য ব্যাপার আছে।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এবার প্রমোশনের পোস্টিংটা দেব, যেটা বলেছি এটা অটোমেশনে হবে। যারা দীর্ঘদিন প্রান্তিক এলাকায় কাজ করেছেন, তারা প্রথম সুযোগটা পাবেন কেন্দ্রে আসার। তো কাজেই এরকম কিছু জিনিস আমরা করছি। কোনো রকমের বৈষম্য যেন আমাদের মধ্যে না থাকে। পেরিফেরির নার্সগুলোকে নিয়ে আসতে বলছেন আপনারা। তাহলে পেরিফেরির মানুষ কোথায় যাবে? ওরা কোথায় চিকিৎসা নেবে? আর চিটাগংয়ের কথা বলছেন? চিটাগংয়ের ছেলে-মেয়েদেরকে আপনারা নার্সিং পড়ান না কেন? আপনার জন্য কেন দিনাজপুর থেকে নার্স এসে কক্সবাজারে চাকরি করবে, টেকনাফে কাজ করবে, চট্টগ্রামে কাজ করবে। কতবছর থাকবে সে আপনার এখানে?’
তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ কেয়ার গিভার জাপান, ইউকে নিয়ে যাবে। কেয়ার গিভার আপনারা বানাচ্ছে না কেন? সবাই খালি চাকরি খোঁজে। কিসের চাকরি খোঁজে। এটাই তো ভোকেশনাল ট্রেনিং। এই কাজটা শেখান, বাইরে পাঠান। কতদিন আর হাতের মধ্যে শাড়ির আঁচলা বাঁধিয়া রাখবেন।’