Saturday 13 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেকারত্ব, মব ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনও বড় চ্যালেঞ্জ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:০১

-ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশে বেকারত্ব বেড়েছে, দারিদ্রসীমার নিচের মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এগুলো ভালো লক্ষণ নয়, মব এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)-‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য মুক্ত আলোচনা: তরুণদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ (সেন্টার অন ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) মিলনায়তন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের শুরুতে সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজ-এর সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের পরিবর্তনের মূল নায়ক এই দেশের তরুণরা, যুবকরা। বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুবশক্তি কিন্তু তার মধ্যে শিক্ষিত বেকার অনেক, কর্মসংস্থান তেমনভাবে তৈরি হয়নি। ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে অনেক উচ্চস্বরেই বলছে যে পৃথিবীর কোনো শক্তি-ই এই নির্বাচন থামাতে পারবে না। আমরা দেখতে পারছি এই যে তরুণেরা এই দেশের পরিবর্তন এবং সংস্কার দেখার জন্য এই অভ্যুত্থ্যান ঘটিয়েছে, তারাই আজ হতাশ। তারুণ্যের অংশগ্রহণ মানে এই না যে, তাকে আমরা মন্ত্রিত্বে বসিয়ে দিলাম বা সংসদে বসিয়ে দিলাম, তাতে করে দেশের খুব লাভ হয় বলে মনে হয় না। সবাইকেই একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তরুণদেরও সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে দিতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বহুমাত্রিক ও বৈচিত্র্যময়। নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে বেকারত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও এর বাস্তব চিত্র অর্থনীতির পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত বেকারত্বের ধারণার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

তিনি বলেন, ৪.৩৬ শতাংশ বেকারত্বের হারকে তিনি খুব বড় কোনো সংকট হিসেবে দেখেন না, কারণ কেবল শতাংশের ভিত্তিতে পরিস্থিতির পূর্ণ বাস্তবতা বোঝা যায় না। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এই ধরনের পরিসংখ্যান অনেক সময় বাস্তবতার সঠিক প্রতিফলন নয়। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে, সেগুলোর ক্ষেত্রে তথ্যের যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া কার্যকর নীতি প্রণয়ন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব ও জীবিকার মধ্যে স্পষ্ট কোনো পার্থক্য অনেক সময় দেখা যায় না। কারণ সেখানে মানুষের একাধিক আয়ের উৎস থাকে। ফলে বেকারত্বের পরিণতি বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে এখনো ততটা গুরুতর আকার ধারণ করেনি। অনেক ক্ষেত্রে বৈদেশিক আয়ের মাধ্যমে বেকারত্বের অবস্থাও দূর হয়ে যায়। অর্থনীতির পরিভাষায় একে ‘ছদ্ম বেকারত্ব’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তরুণদের বিভিন্ন উৎস থেকে আয় থাকায় তাদের মৌলিক চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ হয়। এর ফলে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে তারা চাকরি অনুসন্ধানে ততটা আন্তরিক বা সক্রিয় থাকে না। এর পরিণতিতে তরুণরা অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে এবং নানাভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক ও সরকারি প্রেক্ষাপটে এই বাস্তবতাই আগামী দিনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, এই বিপ্লব যেটা হয়েছে চাকরির উপর ভিত্তি করেই, শ্রম বাজারে চাকরির বাজারে বৈষম্যের বিরুদ্ধেই এই বিপ্লব হয়েছে। যেই তিনটা সংখ্যার উপর বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে, সেই তিনটি যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়লে আমরা কী করবো আমি জানি না। বিশ্বব্যাংক বলছে, দেশের বেকারত্ব বেড়েছে এবং দারিদ্রসীমার নিচের মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এগুলো কিন্তু কোনো ভালো লক্ষণ নয়। অন্যান্য সূচকগুলো দেখেও আমরা ভালো কিছু দেখতে পাচ্ছি না, যা দেখা যাচ্ছে সেটা খুবই উদ্বেগজনক। মব ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ, এনার্জি ক্রাইসিস নিয়ে আমাদের কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নাই, শিল্পকারখানা বলছে আমাদের এখন দক্ষ জনশক্তি নাই।

ড. মোহাম্মদ পারভেজ ইমদাদ বলেন, কর্মক্ষমতার সঙ্গে দেশের প্রবৃদ্ধির সম্পর্ক আছে। গ্রোথের সঙ্গে ইনকামের কিছু বিষয়ে মিলতে বা না মিলতেও পারে। গ্রোথের সঙ্গে দারিদ্রেরও একটি ইম্প্যাক্ট রয়েছে। এমপ্লয়মেন্ট বাড়লে অসমতা কমে আসে, সরকারের দায়িত্ব চাকুরি বাড়ানো কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই প্রাইভেট সেক্টরেরও অনেক ভূমিকা রাখার জায়গা রয়েছে। আমাদের ওভার সিজ এমপ্লয়মেন্ট এবং রেডিমেড গার্মেন্টস আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি, কিন্তু এটা আমাদের জন্য যথেষ্ট না। আমাদের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইড কমিয়ে আনতে হবে এবং প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমাদের দেশেরও বিভিন্ন খাত উন্নয়ন করা সম্ভব।

ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন, অভ্যুত্থানের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে তরুণরা। এই তরুণদের যেই আইএলও এর সংজ্ঞা অনুযায়ী বেকার, কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতায় অনেকেই এই সংজ্ঞার ভেতর পড়ে না। যে অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সে অনুযায়ী কর্মসংস্থান হচ্ছে কি না- এটা একটি দেখার বিষয়। এজন্য দেখা যায়, বেকারের ভেতর শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেশি। স্কিল মিসম্যাচের একটি বিষয় আছে, এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে।

সিপিবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, তরুণদের জন্য শুধু চাকরি দেওয়াই কি আমাদের লক্ষ্য, নাকি টেকসই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাই আসল উদ্দেশ্য—এই প্রশ্নটি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। অনেক তরুণই রাষ্ট্র ও জাতি নিয়ে আশাবাদী নয়, যা একটি গভীর সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকেত। তরুণদের জন্য এমন একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তারা নিজেদের সম্ভাবনা ও সৃজনশীল চিন্তাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার সুযোগ পাবে। তরুণদের সৃজনশীল ধারণাকে সুযোগে রূপান্তর করার কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, বলেন, স্নাতক সম্পন্ন করার পর তরুণদের সামনে সবচেয়ে বড় সংকট হলো বেকারত্ব। ১৯৭১ সালের পর থেকে দেশে টেকসই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ দেশ গঠনের ক্ষেত্রে তরুণরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বাস্তবে অনেক বেশি। দীর্ঘদিনের কোটা ব্যবস্থা এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। কোটা সুবিধায় যারা শুরু থেকেই চাকরি পেয়েছে, তাদের কারণে কাঠামোগত বৈষম্য বজায় থেকেছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবশ্যই কর্মমুখী করতে হবে।

ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, পরিসংখ্যান বলে চাকরির অভাব, কিন্তু বাস্তবতা বলে দক্ষ কর্মক্ষমতার অভাব। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার এসএসসি পাশ ব্যক্তিও একজন গ্রাজুয়েটের থেকে বেশি টাকা অর্জন করছে। আমরা অনেক অনেক তরুণদের গ্র্যাজুয়েট হিসাবে তৈরি করছি, কিন্তু তাদের কোথায় পাঠাচ্ছি- সেটা নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। অনেক ক্ষেত্রেই অনেকে ভাষা না জেনে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। তাদের তৈরি করতে হলে আমাদের কী করতে হবে- সে বিষয়ে ভাবা দরকার, ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কো-অর্ডিনেটর দিদারুল আলম ভূইয়া বলেন, তরুণ প্রজন্ম গতকাল ওসমান হাদি নামক মহানায়ককে আত্মত্যাগ করতে দেখেছে। যারা খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চায়, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনেক ক্ষেত্রে তরুণদের বিপক্ষে কাজ করছে এবং তরুণদের অসুস্থ ও নিষ্ক্রিয় করে রাখাই যেন একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাদক ব্যবসায় সরকারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এসব কার্যক্রম তরুণদের বিরুদ্ধে অবস্থান তৈরি করে এবং রাষ্ট্রের স্বার্থেরও পরিপন্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় অভিযোগটি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঘিরে। শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই; এই তিনটির মধ্যে একটি গভীর ব্যবধান বিদ্যমান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে কম বিনিয়োগ হচ্ছে বাংলাদেশে। যারা বর্তমানে কর্মরত— হোক তা আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক খাতে— তাদের জন্য কি দেশে কোনো কার্যকর অধিকার বা সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে? বাস্তবে শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি।

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)-এর নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী বলেন, ২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে তরুণদের বেকারত্বের হার ৮.১৭ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ২৯–৩০ শতাংশ গ্র্যাজুয়েট বেকার। প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ গ্র্যাজুয়েট দেশে প্রবেশ করছে, কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ১ লাখ তরুণই চাকরির সুযোগ পায়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে পারছে না। এর ফলে ডিগ্রির যথাযথ মূল্যায়ন এবং কার্যকর ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। এই কাঠামোগত সমস্যার প্রেক্ষাপটেই ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল।

রাগিব আহসান মুন্না বলেন, যারা নিরক্ষর তাদের মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলকভাবে কম, আর অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিতদের চাকরি পাওয়ার হার প্রায় ১ শতাংশ— এমন বাস্তবতা থেকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় না যে, শিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধে পরিবর্তন আনতে হবে। এই পরিবর্তনে তরুণরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তরুণরা বারবার তাদের বিপুল সম্ভাবনা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। তরুণদের মধ্যে যে অদম্য শক্তি ও সম্ভাবনার ভাণ্ডার রয়েছে, তা উন্মোচন করতে হবে। পাশ্চাত্য বিশ্লেষকেরা অনেক সময় বলেন যে, সমস্যাটি কাঠামোগত বা প্রাতিষ্ঠানিক; তাই এসব ক্ষেত্রে গভীর সংস্কার অপরিহার্য।

মাহমুদা হাবিবা বলেন, তরুণদের কর্মসংস্থান অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, আমাদের দল থেকে আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের কথা ২০১১-১২ সাল থেকেই বলে আসছি। এই জন নীতিক লভ্যাংশ সামনের ১০-১২ বছরের মধ্যে ফোকাস করা না হলে আমাদের জন্য জন নীতিক ক্ষতিতে পরিণত হতে পারে। আমরা ১৮ মাসে ১ কোটি চাকরি সৃষ্টির কথা বলছি, এটা আপাতত দৃষ্টিতে অসম্ভব মনে হলেও বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে উচ্চাভিলাষী এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিশাল অংশ বেকার হয়ে বের হচ্ছেন। আমাদের অনেক বিশাল একটি কর্মক্ষম নারী জনগোষ্ঠী রয়েছে, আমাদের এদের কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

সারওয়ার তুষার বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা দেশ রক্ষার নির্বাচন করবেন বলেছেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, নির্বাচন-ই রক্ষা করা যাচ্ছে না। অনেক মামলায় আটক হওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের দল থেকে আমরা পলিসি তৈরি করার কথা বলেছি, ২৪ দফায় সেটার ভেতরে আমরা কর্মসংস্থানকে গুরুত্ব দিয়েছি।

শিহাব উদ্দিন খান বলেন, এখন জেলা শহরে ব্যাটারি রিকশার যে ব্যবহার বেড়েছে, এখান থেকে অনুমেয় যে, শ্রম শক্তির যে জরিপ- সেখান থেকে বাস্তবতার কিছু মিল রয়েছে। আমাদের মধ্যে সবসময়-ই একটা প্রশ্ন থাকে যে, আমাদের দেশের যে জনসংখ্যা তা কি আমাদের জন্য বোঝা নাকি জনশক্তি? আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে যে শ্রেনিপেশার একটি সমন্বয় সেটি অনেক ক্ষেত্রে করা যাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর