ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, নিরাপত্তার ভয় দেখিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক দাবি ও আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রশ্নে কোনো প্রকার ভীতি, হুমকি কিংবা বাধার মুখে তারা পিছু হটবেন না; বরং জনগণের সঙ্গে একতাবদ্ধভাবে প্রতিবাদ ও দাবি বাস্তবায়নের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে বিদেশি প্রভাবকারীদের দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফ্যাসিবাদী পরিবেশ তৈরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ বছর ধরে ভারতের সমর্থনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ভারতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়ের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
ভারতের প্রতি দাবি জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘গণহত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে অবিলম্বে হস্তান্তর করতে হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে।’
আখতার হোসেন বলেন, নিরাপত্তা হুমকি ও আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও দেশের মানুষ সাহসী ভূমিকা পালন করে চলেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যতই চাপে থাকি না কেন, আমাদের লক্ষ্য হবে স্বাধীন ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করা। একটি সবুজ, শক্তিশালী ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের জন্য আমাদের সবাইকে একত্রিত থাকতে হবে।’
সমাবেশের শেষাংশে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আল্লাহ যেন হাদি ভাইকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনেন, জুলাই আন্দোলনকে টিকিয়ে রাখেন এবং বাংলাদেশের কল্যাণে সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার তৌফিক দান করেন।’
সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বক্তারা হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।