ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অভিযোগ ও ডোপ টেস্টসংক্রান্ত জটিলতা নিষ্পত্তি শেষে নয় জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করা হয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা ২০২৫–এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত ‘অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি’ সাত প্রার্থীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে প্রতিবেদন প্রদান করে। একইসঙ্গে একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্টসংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ প্রমাণিত নয় বলে রিপোর্ট দেয় এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট নয় প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করা হয়।
তারা হলেন- সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্থা দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির)।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা জকসু নির্বাচন ২০২৫–এর পরবর্তী সব নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে বিষয়টি অবগত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় ও হল শিক্ষার্থী সংসদে ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদের চার জন।
এছাড়া গত দু’দিনে আট জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। আর আজ নতুন করে নয় জন প্রার্থিতা ফিরে পায়। সবমিলিয়ে জকসুতে ৩৪ পদে ১৯০ জন চূড়ান্ত প্রার্থী ভোটে লড়াই করবেন।