ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি নেতা ও ঢাকা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছিল। ভারত তাদের প্রয়োজনে মিত্রবাহিনী হিসেবে সহায়তা করেছে; কিন্তু তারা সহযোগিতা না করলেও এ দেশ স্বাধীন হতোই।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর)রাতে রাজধানীর ওয়ারীতে ‘জিয়া শিশু কিশোর মেলা’ আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এসেও যারা মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের ইতিহাসের পাতায় ফিরে তাকানো উচিত। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করে নিজেদের অপকর্ম জায়েজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার মানে এই নয় যে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি বা গণহত্যা ঘটেনি। আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনীর ভূমিকা আজ ইতিহাসে স্পষ্ট।
তিনি আরও যোগ করেন, গত বছর স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার সঙ্গে ১৯৭১-এর গণহত্যার তুলনা চলে না, তবে কোনো সত্যই মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
১৬ই ডিসেম্বরের আত্মসমর্পণ নিয়ে ভারতের ভূমিকা প্রসঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের কাছে নয়, বরং মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। যদিও জেনারেল ওসমানী সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাতে আমাদের বিজয় ম্লান হয়ে যায়নি। ভারত তাদের প্রয়োজনে মুক্তিবাহিনীকে সমর্থন দিয়েছিল। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভারত না থাকলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হতো।’
বিএনপির এই তরুণ নেতা অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে বা ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। অথচ আজ আবার দেশকে বিভক্তির মুখে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
উপস্থিত শিশু-কিশোর ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা পচা-গলা ভণ্ড রাজনীতির ধারক, তাদের বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী ১২ তারিখ ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ এই অপপ্রচারের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’
কে এস হোসেন টমাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ারী থানা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, কাজী আবুল বাসার, জাহাঙ্গীর শিকদার এবং জাসাস নেতা শিবা শানুসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।