ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘জুলাইযোদ্ধাদের চোখ থেকে আড়াল করা যাবে না। তাদের নিরাপত্তার দিকে নজর রাখতে হবে। রুমির এই ঘটনা আমাদের অ্যালার্ট করে। একইসঙ্গে সাহস যোগায়। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখসারির যোদ্ধা জান্নাত আরা রুমি মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না এনসিপি।’
বৃহস্পতিবার (১৮ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত রুমির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে এসব একথা বলেন তিনি।
সামান্তা শারমিন বলেন, ওসমান হাদির মস্তিষ্ক ভেদ করা বুলেট যেমন আমাদের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। এরই মধ্যে যখন সহকর্মী রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ আমাদেরকে, দেশের সকল মানুষকে, সব জুলাই যোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষনাপত্রে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা রাখা হয় নাই। নির্বাচন এমনভাবে করা হচ্ছে যেখানে প্রশাসনের নির্দিষ্ট কোন রূপরেখা নাই। এই নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নয়।
রুমিকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তাকে বুলিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল। এনসিপি ও শহিদ পরিবারের ওপর হুমকি আসছে। দিল্লি, রয়ালপিন্ডি ও আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। তাদের আচরণ পক্ষপাতমূলক। নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংস্কারের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। কোন তথ্য যাতে গোপন করা না হয় তার আহ্বান জানান তিনি। নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। তাদের বিষয়ে সরকার কোন পদক্ষেপ নেয় নাই, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। তার বিপক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিষয়ে দলগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
একই সময়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের যারা পক্ষে, যারা জুলাইযোদ্ধা, তাদের একের পর এক অপমৃত্যু হচ্ছে। অনেককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। রুমিকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য সে ১৩ তারিখ ধানমন্ডি থানায় জিডি করেছিল।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও পুলিশসহ সরকারকে বলব, সবাই এদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। রিপোর্টে যেন কোন হেরফের না হয়।