চট্টগ্রাম ব্যুরো: ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজপথে নেমে আসে ছাত্র-জনতা৷ এরপর থেকে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ চলছে। সাবেক মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর খুলশী এলাকায় ভারতীয় সহকারি হাই কমিশন কার্যালয়ের সামনে ২০-৩০ জন তরুণ-যুবক জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে এর আগেই সেখানে পুলিশের নিরাপত্তা বেস্টনি দেওয়া হয়। এর ফলে বিক্ষোভকারীরা হাই কমিশনের মূল ফটকের অদূরে ঝাউতলা সড়কের মুখে অবস্থান নেন।
রাত ১১টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে হাই কমিশনের দিকে যাবার ঘোষণা দিয়েছে।
এর মধ্যে বিক্ষুব্ধ কিছু তরুণ-যুবক নগরীর পাঁচলাইশ থানার চশমা হিল এলাকায় গিয়ে সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার ছেলে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনের সামনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে ভেতরে কেউ অবস্থান করছে কী না সেটি জানা যায়নি। এর আগেও ওই বাসা ভাঙচুর করা হয়েছিল।
এসব বিষয়ে নগর পুলিশের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে রাত ১১টার দিকে ফটিকছড়ি উপজেলার বিবিরহাট এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে জনতা। এতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
চট্টগ্রামে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিবিরহাটে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। হাটহাজারী ক্লিয়ার আছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি।’
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।