ঢাকা: সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ শহিদ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহিদ ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল শনিবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ যোহর ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনটি আরও জানায়, আজকের পরিবর্তে আগামীকাল মিছিলসহ ওসমান হাদি ভাইকে সেন্ট্রাল মসজিদে আনা হবে। ছাত্র জনতা আজ ও আগামীকাল শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলনে নজরদারি রাখবেন, যেন কোনো গোষ্ঠী অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আন্দোলন স্তিমিত করতে না পারে। একইসঙ্গে সহিংসতা করার সুযোগও না পায়।
ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, মরদেহ দেখার কোনো সুযোগ থাকবে না। সকলের নিকট শৃঙ্খলা বজায় রাখার এবং শহিদ ওসমান হাদির জন্য দোয়া পৌঁছানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।
এর আগে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছায় ওসমান হাদির মরদেহ। তার আগে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে ফ্লাইটটি রওনা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার পর ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এবং ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকে হাদির মারা যাওয়ার খবর জানানো হয়। ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন।
ওসমান হাদির মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া, শহিদ ওসমান হাদীর স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত সোমবার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সালকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।