Friday 19 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাদি হত্যা ও সংবাদমাধ্যমে হামলায় বিচার দাবি ঢাবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের

ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৪২ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৬

ঢাবি: ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যা ও রাজধানীতে সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টারের’ অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ‘নিউ এজ’ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর-এর ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে তারা এক বিবৃতির মাধ্যমে এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমরা শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিবৃতি।

গণমাধ্যমের উপর হামলার বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাদির হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী উগ্রগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ ছাড়া ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই এবং অবিলম্বে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনামলে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার রাষ্ট্রীয় রোষানলে পড়েছিল। একই কায়দায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সংঘটিত এ ধরনের হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত তো বটেও একই সঙ্গে এটি গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গেও সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, ‘হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকার এখনো অপরাধীদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু, বিভিন্ন গণমাধ্যমে খুনিদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি ও সন্ত্রাসীদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এবং হাদি হত্যার সঙ্গে যুক্ত খুনিদের একইভাবে সীমান্ত অতিক্রম—এই দুটি ঘটনা একটি অভিন্ন সূত্রে গাঁথা।’

বিবৃতিতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড এবং গতকালের নৈরাজ্য বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করার একটি ঘৃণ্য অপচেষ্টা। আমরা দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন পরিচালনা এবং যেকোনো ধরনের সহিংস আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি মানুষের জানমাল, সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র, রাষ্ট্রীয়, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর