ঢাকা: ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে ব্যর্থতা ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এসব দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ওসমান হাদি ছিলেন একজন আপসহীন তরুণ নেতা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অগ্রপথিক। ফ্যাসিস্টদের পরিকল্পনায় তিনি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পূর্বপ্রস্তুতি ও ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের অভাব, যোগ্যতার ঘাটতি এবং আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। ঘটনার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও হত্যাকারী ও নেপথ্যের কুশীলবদের গ্রেফতারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ছাত্রদল।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড কেবল একটি ব্যক্তির প্রাণহানি নয়; এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী কণ্ঠরোধের এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত। যা গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র, যুব ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আজ চরম অনিশ্চয়তার মুখে।
এ প্রেক্ষাপটে ছাত্রদল ৪ দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাদির হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হত্যাকারী, পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতাসহ সকলকে দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনা, হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র ও সংশ্লিষ্টদের অবহেলা খতিয়ে দেখতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড রোধে গোয়েন্দা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আইনের শাসন ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহিদ ওসমান বিন হাদির আত্মত্যাগের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করে ছাত্রদল।