ঢাবি: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহিদ শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের দক্ষিণ দিকে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, দুপুর আড়াইটায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকির ইমামতিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ওসমান হাদির লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি মানিক মিয়া এভিনিউ হতে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধে পৌঁছালে তাকে কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের দক্ষিণ দিকে সমাধিস্ত করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশের দ্বিতীয় স্লটের পূর্ব পাশে তার কবর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থার মাঝে তার দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
এর আগে, সকালে ওসমান হাদির লাশের ময়নাতদন্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। পরে তার লাশ আবারও নেওয়া হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে গোসল শেষে সহযোদ্ধা ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে মিছিলসহ লাশ নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণার সময় হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহিদ হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে নিয়ে আসা হয়।