সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাত ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গোলাম হোসেন (৬০) নামের এক চিংড়ি চাষি নিহত হয়েছেন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের জাবাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গোলাম হোসেন ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত হামিজ উদ্দীন মোড়লের ছেলে। ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরিসহ চারজনকে আটক করেছে।
নিহতের ছেলে হাফিজুর রহমান জানান, তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত একটি পায়ে চলা রাস্তা সম্প্রতি প্রতিবেশী ইমান আলী মোড়ল ও তার পরিবারের সদস্যরা বন্ধ করে দেন। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ইমান আলী মোড়ল। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় গোলাম হোসেনের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমান আলীর ছেলে সাইফুল, ফরুক, সেলিম এবং বদরুদ্দীনের ছেলে রেজাউল ধারালো অস্ত্র ও ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।
আহত অবস্থায় গোলাম হোসেনকে দ্রুত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বন্ধু আব্দুর রশিদ বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাওয়া হলেও অভিযুক্তরা নির্ধারিত দিনে পরিষদে হাজির হয়নি। বিষয়টি প্রশাসনের কাছে নেওয়ার কথা বলায় প্রতিপক্ষ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তার অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই গোলাম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজন আত্মসমর্পণকারী বনদস্যু সিরাজুলের ভাই।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকির হোসেন বলেন, নিহতের পিঠ, বুক ও কাঁধসহ শরীরের চারটি স্থানে ছুরিকাঘাত ও কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লোহার রড দিয়ে আঘাতেরও আলামত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) পিয়ার উদ্দীন জানান, ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্তদের ধাওয়া করে একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে সাইফুল, সেলিম, ফরুক ও রেজাউলকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।