বেনাপোল: যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক, শীর্ষ সন্ত্রাসী জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনকে গ্রেফতার করেছে যশোরের ডিবি পুলিশ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মিলনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে মিলন যশোর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। পুলিশ বলছে, শহরে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে মিলনের বিরুদ্ধে। পটপরিবর্তনের পর তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে ছিলেন।
যশোর ডিবির অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেসব ঘটনায় মামলাও রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। ডিবির একটি টিম মিলনের অবস্থান শনাক্ত করে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মদ্যপ অবস্থায় তিন সহযোগীসহ আটক হন মিলন।
২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি মিলন। এছাড়াও ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন টাক মিলন। তার নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে।
যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে রয়েল কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ক্যাসিনো (জুয়া) ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ ছিল টাক মিলনের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের বাড়িতে অন্তত ১০বার ককটেল হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় মিলনের সংপৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিএনপি নেতাদের।