জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘আত্মহত্যার চিন্তা এবং প্রতিরোধ: দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে আত্মহত্যার চিন্তা ও প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনায় দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এতে অংশ নেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), হিট সাব-প্রজেক্ট (পিন-১২১৭৫) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটির আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাইফ এনফ আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয় হয়ে উঠেছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে গবেষণাভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ এবং সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নরেন্দ্র সিং থাগুন্না। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় আত্মহত্যার চিন্তার কারণগুলো তুলে ধরেন। একই সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিদ্যমান সামাজিক কলঙ্ক দূর করা এবং কার্যকর প্রতিরোধ কাঠামো গড়ে তুলতে আঞ্চলিক ও আন্তঃদেশীয় একাডেমিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন।
সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন হিট সাব প্রজেক্ট এর এসপিএম ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আসোক কুমার সাহা। তিনি হিট সাব-প্রজেক্টের লক্ষ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরে মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং হস্তক্ষেপমূলক উদ্যোগ জোরদারের কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন হিট সাব প্রজেক্ট এর , এএসপিএম অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, অধ্যাপক ড. নূর মুহাম্মদ ও এসপিএমটি হিট সাব-প্রজেক্টের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আকরাম উজ্জামান এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফাতেমা-তুজ-জোহরা বিনতে জামান। তারা আত্মহত্যার ঝুঁকি, প্রতিরোধের উপায়, ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা ও নীতিগত করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. সামসাদ আফরিন হিমি। অনুষ্ঠানে বক্তারা আত্মহত্যা প্রতিরোধে গবেষণা জোরদার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।