ঢাকা: বাংলাদেশে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কনটেন্ট তৈরি ও গল্প তুলে ধরার দক্ষতা বাড়াতে সঠিক তথ্য, টিকটক প্ল্যাটফর্মের টুলস ও রিসোর্স সম্পর্কে জানানোর লক্ষ্য নিয়ে টিকটক প্রথমবারের মতো আয়োজন করল ‘ক্রিয়েটর ডে ২০২৫’।
এই আয়োজনে টিকটক ২০২৫ সালের কার্যক্রমগুলো তুলে ধরে, একই সঙ্গে ২০২৬ সালের টিকটকের কনটেন্ট ও ক্যাটাগরি অগ্রাধিকারগুলোও তুলে ধরা হয় যেন সামনের দিনগুলোর জন্য ক্রিয়েটররা তাদের কনটেন্ট নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত টিকটক ‘ক্রিয়েটর ডে ২০২৫’-এ কনটেন্ট তৈরির ওপর ওয়ার্কশপভিত্তিক লার্নিং সেশন আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কনটেন্ট ক্রিয়েটর, প্রকাশক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অংশ নেন। দিনব্যাপী এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা ইন্টারঅ্যাক্টিভ ওয়ার্কশপ, গেম, প্যানেল আলোচনা ও অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নেন।
এছাড়া আকর্ষণীয় উপহার জেতারও সুযোগ ছিল। কনটেন্ট পরিকল্পনা, গল্প বলার কৌশল, ভিডিও ধারণের পদ্ধতি এবং টিকটকের ইন-অ্যাপ ফিচারগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহারের বিষয়গুলো এই সেশনগুলোতে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্রিয়েটরদের নিয়ে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচও আয়োজন করা হয়।
দেশের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, ক্রীড়াঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ক্রিয়েটর ও প্রকাশকরা তাদের কনটেন্ট ক্রিয়েশনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। কনটেন্টকে অর্থবহ ও মানসম্মতভাবে তৈরি করার বিষয়গুলোকে এই আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশের কনটেন্ট কমিউনিটির সৃজনশীলতা আর তাদের প্রতি টিকটকের প্রতিশ্রুতি ওঠে আসে এই আয়োজনে।
টিকটকের সাউথ এশিয়া অঞ্চলের কনটেন্ট অপারেশনস লিড, উমেইস নাভিদ বলেন, “বাংলাদেশে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কমিউনিটি প্রতিভাবান ও সৃজনশীল। ক্রিয়েটর ডে এর মাধ্যমে আমরা তাদের উৎসাহিত করতে চাই। একই সঙ্গে আমরা এই কমিউনিটিকে সঠিক নির্দেশনা দিতে চাই যাতে তারা মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে পারে, প্ল্যাটফর্মটি দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং একটি নিরাপদ ও ইতিবাচক কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে পারে। টিকটকের কমিউনিটি শক্তিশালী করা, কনটেন্ট ইকোসিস্টেম উন্নত করা এবং টিকটককে সৃজনশীলতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বজায় রেখে বাংলাদেশের গল্প বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
ক্রিয়েটর ডে ২০২৫ এমন একটি আয়োজন যেখানে শিক্ষামূলক সেশন ও উৎসবমুখর পরিবেশে কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য টিকটকের সব ধরনের সহায়তা তুলে ধরা হয়। টিকটকের লক্ষ্য হলো এমন উদ্যোগের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রাণিত করা যেন তারা নিজেদের গল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারে।