ফরিদপুর: ফরিদপুরে অটোরিকশা চালককে হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কোতয়ালী থানার কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আজমীর হোসেন।
পুলিশ বলছে, একসাথে নেশা করানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে রিকশাচালক টিপুকে হত্যা করে তার সহকর্মী রাজিব খান (৪১)। এ ঘটনায় রাজিবকে গ্রেফতারের পর হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও রিকশার ব্যাটারিসহ যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘাতক রাজিব খান জেলার সদর উপজেলার বাকীগঞ্জ গ্রামের মৃত ফিরোজ খানের ছেলে। অপর আসামি মান্নান হাওলাদার সাহা বিশ্বাস ডাঙ্গী গ্রামের মানিক হাওলাদারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, মূল আসামি রাজিব খান ও নিহত টিপু শহরের একটি ইট ভাটায় কাজ করতেন। নিহত টিপু শেখ অবসর সময়ে রিকশা চালাতেন। গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর একসাথে নেশা করার কথা বলে টিপুকে ডেকে নিয়ে যায় রাজিব। এরপর রাতে শহরতলির ঈশানগোপালপুর এলাকার একটি কলাবাগানে নিয়ে গাজা সেবন শেষে চাকু দিয়ে চালক টিপু কে কুপিয়ে হত্যা করে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় রাজিব।
পরের দিন সকালে লাশ উদ্ধারের পর নিহতের ভাই সিদ্দিক শেখ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। নিহতের মোবাইলের কললিস্ট ও বিভিন্ন এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ দেখে হত্যাকারী রাজিব শেখ কে আটক করে পুলিশ।
আসা, রাজিব খান ঋণগ্রস্ত হওয়ায় অটোরিকশা টি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় ছিনতাই হওয়া চোরাই রিকশা কেনা-বেচা করে এমন আরেকজন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।