ঢাকা: চাল, ভোজ্য তেল ও সার আমদানি এবং ৫টি গ্যাসকূপ খননসহ ২২টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
এর বাইরে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ বাঁধাই ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে ৫৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানোর একটি ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
ভারত ও পাকিস্তান থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি
বৈঠক শেষে জানানো হয়, দুটি পৃথক প্রস্তাবে ভারত ও পকিস্তান থেকে মোট ১ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে। এর মধ্যে ২১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধচাল সরবরাহ করবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স পট্টভি এগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড’। আর পাকিস্তান থেকে ২৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক আতপ কেনা হবে জি-টু-জি’র আওতায়। এটি সরবরাহ করবে ‘ট্রেডিং কর্পোরেশন অব পাকিস্তান’।
মরক্কো থেকে কেনা হবে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার
বৈঠকে মরক্কো থেকে চারটি প্রস্তাবের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিন প্রস্তাবে ৯০ লাখ মেট্রিক টন টিএসপি সার এবং একটি প্রস্তাবে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৬৯ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কেনা হবে পৌনে ৫ কোটি লিটার ভোজ্যতেল
বৈঠকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে তিনটি পৃথক প্রস্তাবে ৩ কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি লিটার রাইস ব্রাণ তেল কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৪২ কোটি ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
এছাড়া আরেকটি পৃথক প্রস্তাবে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ২০ লাখ টাকা।
৫টি গ্যাস কূপ খননে ব্যয় হবে ৯০৭ কোটি টাকা
বৈঠকে ৪টি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (শাহবাজপুর- ৫ ও ৭, ভোলা নর্থ- ৩ ও ৪) এবং ১টি অনুসন্ধান কূপ (শাহবাজপুর নর্থ ইস্ট-১) খননে আন্তর্জাতিক ঠিকাদার নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কাজটি করবে সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস কর্পোরেশন, পিআর চায়না। এতে ব্যয় হবে ৯০৭ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন
বৈঠকে ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ-এর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধনে একই প্রকল্পের চারটি পৃথক কাজ সম্পাদনে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৭২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে ২১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্যানরবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন ৫৩১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫টি উন্নয়নমূলক পূর্তকাজ এবং ২ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে বিনামূল্যের পাঠ্যপস্তক মুদ্রণ বাঁধাই ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি প্রম্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।