পিরোজপুর: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানী) থেকে ধানের শীষ প্রতীকের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জোটগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের হাতেই ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছে। মোস্তফা জামাল হায়দারের মতো একজন হেভিওয়েট ও অভিজ্ঞ নেতার আগমনে পিরোজপুর-১ আসনের নির্বাচনি সমীকরণে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তাদের মতে, জাতীয় রাজনীতিতে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, সংসদীয় কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা এবং পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ভাবমূর্তি এ আসনের ভোটের লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
জোটের একক প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়ন ঘোষণার ফলে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিভেদ কাটিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি হয়েছে। দলীয় কোন্দল ভুলে সব স্তরের নেতাকর্মীরা এখন সম্মিলিতভাবে নির্বাচনি মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মোস্তফা জামাল হায়দারের নাম ঘোষণার পর থেকেই পিরোজপুরজুড়ে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। একইসঙ্গে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও তার গ্রহণযোগ্যতা ও ‘ক্লিন ইমেজ’ নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা হলো, জোটের একজন অভিজ্ঞ ও গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে পিরোজপুর-১ আসনে ধানের শীষের অবস্থান আরও সুসংহত হবে এবং নির্বাচনি লড়াইয়ে নতুন গতি সঞ্চার হবে।