ঢাকা: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০২৫ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়েই সংগঠনটির ২০২৬ মেয়াদের নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। দিনব্যাপী আয়োজিত এ সম্মেলনে সারাদেশের সকল সদস্য অংশ নিচ্ছেন। সকাল ৮টায় অর্থসহ পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা ও প্রারম্ভিক বক্তব্যের পর দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও বরেণ্য মেহমানরা এবং বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলারসহ অতিথিদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দুপুর ১টায় প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।

বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০২৫।
স্বল্প বিরতির পর দুপুর ২টা থেকে সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন শুরু হবে। সমাপনী অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন ও সেক্রেটারি জেনারেল মনোনয়ন, সমাপনী বক্তব্য ও দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে বার্ষিক সদস্য সম্মেলন-২০২৫ এর কার্যক্রম শেষ হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় সংগঠনের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম আর শিবিরের রাজনীতিতে থাকতে আগ্রহী নন। সে কারণে চলতি বছরই দায়িত্ব থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সারাদেশ থেকে আসা কয়েক হাজার সদস্যের সরাসরি ও গোপন ভোটে নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত সভাপতি পরবর্তীতে একজনকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনীত করবেন। এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি পদে একাধিক নেতার নাম জোরালোভাবে আলোচনায় রয়েছে।
শীর্ষ পদটির দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সংগঠনের বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সিবগাতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ এবং কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।
তবে সংগঠনটির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে সাধারণত সেক্রেটারি জেনারেলই পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পান। এই ধারার ব্যতিক্রম সংগঠনটির ইতিহাসে খুব একটা দেখা যায়নি।
সে হিসেবে বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দামই দলটির নতুন কাণ্ডারি হওয়ার সম্ভাবনায় এগিয়ে রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় থাকা বাকি নেতাদের মধ্যে সিবগাতুল্লাহ, আজিজুর রহমান আজাদ ও সাদিক কায়েমের মধ্য থেকে একজনকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনীত করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমান সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দামের পরিচালনায় সদস্য সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদির বড় ভাই শরিফ ওমর বিন হাদি, মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ অন্যান্যরা।