বগুড়া: বগুড়ার সোনাতলায় মা চায়না বেগম (৩৬) ও মেয়ে খাদিজা খাতুনের (১৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের শিচারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চায়না ও খাদিজা শিচারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কামরুজ্জামানের স্ত্রী ও মেয়ে। এই ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে আছেন কামরুজ্জামান।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সাংসারিক অভাব অনটন ও ঋণের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এর জেরেই স্বামী কামরুজ্জামানের উপর অভিমান করে মা-মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, চায়না বেগমের বাবা তারাজুল ইসলামের দাবি, তার মেয়ে ও নাতনীকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছেন জামাই।
জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তারা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় মা ও মেয়েকে ঘরের তীরের সঙ্গে একই দড়িতে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়দের কাছে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সদরুল আমীন লিমন জানান, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। চায়না ও তার মেয়ে খাদিজা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন। ছোট মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক।’
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ) মো. কবির হোসেন জানান, মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।