ঢাকা: দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সুপারিশের তিন মাসেও ৩ হাজার ৫০০ চিকিৎসকের পদায়ন সম্পন্ন হচ্ছে না। এতে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ৪৮তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৪৮তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা। এ সময় গেজেট প্রকাশ ও দ্রুত পদায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. দেবাশীষ দাস বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা জোরদারে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে দুই হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গত ২৯ মে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর ১৮ জুলাই এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা, ১০ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) শেষে ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। তবে ফল প্রকাশের তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের চিকিৎসক সংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করেন আয়োজকেরা। গত ৩ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র একজন চিকিৎসকের ওপর শতাধিক রোগীর চাপের চিত্র উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর স্বজনেরা।
আয়োজকদের ভাষ্য, এটি শুধু একটি উপজেলার চিত্র নয়- দেশের প্রায় সব উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই একই ধরনের সংকট বিরাজ করছে।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার ৯৮০টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে তীব্র চিকিৎসক সংকট থাকা সত্ত্বেও ৩ হাজার ৫০০ এর বেশি প্রস্তুত চিকিৎসককে পদায়ন না করে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এতে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডা. মো. রুহুল আমিন, ডা. মো. রিফাত খন্দকার, ডা. ইশরাত জাহানে ঈসা, ডা. আজাদ হোসেন ও রাতুল বালা বিশ্বাল।