স্বজন ভেবে গরিব মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার আহবান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
২৫ জুলাই ২০১৮ ১৮:৪৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বর্তমানে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে গরিব ও অসহায় মানুষরাই বেশি আসে। তাই ডাক্তার ও নার্সদের উচিত ওই সব লোকদের স্বজন ভেবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা। তবেই জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ হবে।
বুধবার (২৫ জুলাই) বিকেল চারটায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্ললাহ মেডিকেল কলেজ (মিডফোর্ট) হাসপাতালের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, আমি জেনেছি এখানকার ডাক্তাররা যানজট এড়াতে ঢাকা মেডিকেল এলাকায় গাড়ি রেখে রিকশায় আসেন। আবার রিকশায় গিয়ে গাড়িতে ওঠেন। সমস্যা হচ্ছে আপনারা ২ টা বাজার অনেক আগেই চলে যান। আগে চলে গেলে এখানকার রোগীদের চিকিৎসা দেবে কে? এই হাসপাতালের অনেক সমস্যা আছে ধীরে ধীরে সমাধান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই হাসপাতালটি মেডিকেল কলেজে রুপ দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই এই হাসপাতালের প্রতি শেখ হাসিনাসহ সবার নেক দৃষ্টি রয়েছে। কোন সমস্যাই থাকবে না এই হাসপাতালের।
মন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে হাজার হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের পরিকল্পনা চলছে। তবে আমাদের দাবি, গরিব মানুষের চিকিৎসা ভালভাবে করতে হবে। তাদের স্বজন ভেবে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। রোগীরা যাতে সেবা পেয়ে আপনাদের জন্য দোয়া করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, চিকিৎসকদের সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখি চিকিৎসকদের মারধর করা হয়েছে। কোথাও মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব চলবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে এসব রোধে কাজ করার আহবান জানান তিনি। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় হাসপাতালগুলোর উন্নয়নমূলক অনেক কাজ আটকে থাকে, সেগুলো যাতে দ্রুত পাস হয় সেই আহবানও জানান সাবেক এই সংসদ সদস্য।
সভাপতির বক্তব্যে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার বলেন, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়ার মতো চিকিৎসক থাকেন না। কারণ এখানে আবাসিকভাবে থাকার জায়গা নেই। মাত্র ৩৭ জন নার্স এখানে থাকতে পারেন অথচ চাহিদা রয়েছে ২৫০ এর মতো। এখানে একটি মাল্টিস্টোরেজ বিল্ডিং হলে সবার জায়গা দেওয়া সম্ভব হতো।
তিনি বলেন, রোগীরা আসলে জায়গা দিতে পারি না। এজন্য দ্বিতীয় হাসপাতালের কাজ শুরু হয়ে গত দুই বছর ধরে আটকে আছে। এটি হলে রোগীদের ভালোভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিকেল ৩ টায় হাসপাতালে এসে উপস্থিত হন। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। হাসপাতালের সঠিক ব্যবস্থাপনা করার জন্য হাসপাতালের পরিচালক নিজ উদ্যোগে এক ডজন ওয়াকিটকি কিনেছেন, মন্ত্রী সেই ওয়াকিটকি ও এইচডিইউ এর উদ্বোধন করেন।
সারাবাংলা/ইউজে/এনএইচ