ঢাকা: ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সাগরিকা ইসলাম। বুধবার (১৪ মে) এসএম মোরশেদের পক্ষে এ রিট করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ সচিব, বাণিজ্য সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) ও ড. মইনুল খানকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী সাগরিকা ইসলাম বলেন, আবেদনে ড. মইনুল খানের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না ও তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে সাতদিনের মধ্যে পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠনসহ ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া মইনুল খান যেন দেশ ছাড়তে না পোরে সেজন্য নিষোধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ২ এপ্রিল ‘এনবিআরের দুর্নীতিবাজ সদস্য মইনুল খানের ঘুষ বাণিজ্য, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন প্রসঙ্গে ‘ অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন দেন এসএম মোরশেদ। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ২০ অক্টোবর আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। এতেও সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।