রামপুরায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
২৬ জুলাই ২০১৮ ১৬:০৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকার একটি বাসায় জুলেখা আক্তার রত্না (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে পুলিশ রামপুরা বনশ্রীর ডি ব্লকের ১০ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার ছয়তলা থকে রত্নার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
মৃত রত্না ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে রামপুরার বাসায় স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ও এক সন্তান ইফতেখার রায়হান (১৩) নিয়ে ভাড়া থাকত। এবং গুলশান শাহজাদপুর এলাকায় সোলায়মান কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা করতেন।
রত্নার বড় ভাই শওকত আকবর জানায়, কলেজে পড়া অবস্থায় রত্না ভালোবেসে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করে। জাহাঙ্গীরও একই এলকার আ. রাজ্জাকের ছেলে। বিয়ের পর থেকে পরিবারের কাছে তেমন একটা যাতায়াত ছিল না।
‘জাহাঙ্গীর ছিলেন বেকার। রত্নাই চাকরি করে সংসার চালাত। আমাদের পক্ষ থেকেও কিছু টাকা পয়সা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু খেয়ে আমার বোনের ওপরই নির্যাতন করত জাহাঙ্গীর। এখনও পর্যন্ত সে বেকার ছিল। হাত খরচটা পর্যন্তু রত্নার কাজ থেকে নিত। শেষ পর্যন্ত মেরেই ফেলল আমার বোনটাকে’, বলেন শওকত।
রত্নার ভাই আরও জানান, গতকাল সকালে রত্নার ছেলে ইফতেখার রায়হান স্কুলে যাওয়ার সময় মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করে বাবাকে। তখন তার বাবা বলে তার মা স্কুলে চলে গেছে। তুমিও স্কুলে যাও। তখন সে স্কুলে চলে যায় এবং যাওয়ার সময় তার মায়ের কক্ষ তালা দেখতে পায়।
বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে বাসায় একই অবস্থা দেখতে পায়। তখন তার বাবাকে ফোন দেয় ইফতেখার। বাবা জানায়, তার মা আমার সাথে আছে। তাকে গুলশান শাহজাদপুরে তার ফুফু নাসিমার বাসায় যেতে বলে। সে তার ফুফুর বাসায় যায়। পরে জাহাঙ্গীরের ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির জানায়, রাতে খবর পেয়ে বাসাার তালা ভেঙে রত্নার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় লালচে দাগ আছে। গতকাল বুধবার সকালে মৃতা রত্না স্কুলে যাওয়ার সময় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী জাহাঙ্গীর রত্নাকে গলা টিপে হত্যা করে বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যায়। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তার স্বামীকে আটক করার চেষ্টা চলছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে