ময়লা বাণিজ্য নিয়ে ছাত্রলীগের মারামারি, গ্রেফতার হননি মূল আসামি
২৬ জুলাই ২০১৮ ১৭:০৫
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর গুলশান এলাকায় ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারামারির ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও হামলার মূল আসামি পিয়ার আলীকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে অভিযান অব্যাহত আছে। পিয়ার আলীকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক সারাবাংলাকে বলেন, মূলত ময়লা বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির সময় একজনকে কোপানো হয়েছে, তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরই মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আরও একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
জানা যায়, গত ১৮ জুলাই দুপুরের দিকে গুলশান ২ এর ১৩২ রোডের মাথায় পিয়ার আলীর নেতৃত্বে একদল ছেলে রুবেল নামে গুলশান ছাত্রলীগের এককর্মীকে গুলি ছোড়ে ও চাপাতি দিয়ে কোপায়। এ ঘটনায় গুলশান থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী মাছুম ওইদিন রাতেই মামলা করলে গুলশান থানা-পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। এরা হলেন কামাল উদ্দিন, রিগান, লিমন ও নাজমুল হাসান।
মামলার বাদী গুলশান থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী মাছুম সারাবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ মামলার প্রধান আসামি পিয়ার আলীকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।’
পিয়ার আলী নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিলেও আসলে তার কোনো পদ নাই বলে জানান তিনি।
কাজী মাছুম বলেন, ‘আমি পদে থাকাবস্থায় ১২৭ থেকে ১৩২ নম্বর রোডের ময়লা অপসারণের কাজ করে আসছি। পিয়ার আলী ওই এলাকার ময়লা অপসারণের কাজ দখলে নিতে চায়। আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকিও দেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, ঘটনার দিন দুপুরে ১৩২ নম্বর সড়কের পুর্ব মাথায় মামুনের চায়ের দোকানে তার সহকর্মী রুবেল বসেছিলেন। এ সময় পিয়ার আলীর নেতৃত্বে আনোয়ার, রিগান, শ্যামল, হারিছুল, সাফায়েত ও কামালসহ বেশ কয়েকজন তার হামলা চালায়।
কাজী মাছুম তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী ও রুবেলকে পিস্তল দিয়ে গুলি ও চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। আনোয়ার তার কোমরে রাখা পিস্তল দিয়ে মেহেদীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। রিগান তার সাথে থাকা চাপাতি দিয়ে রুবেলের মাথায় কোপায়। আর পিয়ার আলী আরেক ছাত্রলীগ নেতা কাওসারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই নির্মল কুমার আগরওয়াল সারাবাংলাকে বলেন, গুলশান থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখমও করা হয়েছে।
কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ময়লা নিয়ে এরকম ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন এলাকার ময়লা কে নেবে আর কী কারণে নেবে, এর পেছনে কী বাণিজ্য রয়েছে তা জানতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
এছাড়া তাদের মধ্যে পূর্ববিরোধের জের থাকতে পারে বলে জানান এসআই।’
সারাবাংলা/ইউজে/একে
আরও পড়ুন
অবস্থা এমন গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট করলেও ছাত্রলীগের দোষ