‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে তামাশা চলছে’
২৭ জুলাই ২০১৮ ১৯:০৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নতুন মজুরি কাঠামোতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে তামাশা ও ষড়যন্ত্র বন্ধ করে ১৬ হাজার টাকা ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটি র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ এবং আই বি সির মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপনসহ একাধিক শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
সরকার গঠিত মজুরি বোর্ডে নতুন মজুরি নির্ধারণে মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষের দেওয়া প্রস্তাবনাকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেছেন—সকল শ্রমিক সংগঠনের মতামত উপেক্ষা করে শ্রমিক প্রতিনিধিদের পক্ষে মাত্র ১২ হাজার টাকা মজুরির প্রস্তাব দেওয়া শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ করে তোলার অপচেষ্টা।
এ ছাড়া মালিকপক্ষ যে ৬ হাজার ৩৬০ টাকার প্রস্তাব দিয়েছে, তা কেবলমাত্র মজুরি কমিয়ে রাখার অপচেষ্টা।সরকার গঠিত মজুরি বোর্ডে দুই পক্ষের এ প্রস্তাব শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ ও উসকানি দেওয়ার সামিল এবং পোশাক খাতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে এর দায়ভার শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র, বলেও মন্তব্য করেন তারা।
বক্তারা আরও বলেন, সিপিডি কর্তৃক ৫ বছর আগের ৫ হাজার ৩০০ টাকা নিম্নতম মজুরির সঙ্গে ৩২ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতিকে যুক্ত করে ৭ হাজার টাকার যে ফর্মূলা তৈরি করেছেন এটাকে হঠকারী এবং দেশের ৪২ লক্ষ শ্রমিকের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতার সামিল।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের নতুন নির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠনসহ তাতে দাখিলকৃত মজুরির প্রস্তাবনার কঠোর সমালোচনা করে একে ‘তামাশা’ বলে উল্লেখ করে বক্তারা। তারা বলেন, মজুরি বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি নেই। যাকে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে, তিনি পোশাক খাতের কোনো সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত নন। ছয় মাসের মধ্যে মজুরি নির্ধারণ এবং ঘোষণার নিয়ম থাকলেও এখন পর্যন্ত বৈঠক হয়েছে মাত্র তিনটি। বোর্ডে মজুরির যে অযৌক্তিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেইসব অপকৌশল বন্ধ করে দ্রুত যৌক্তিক মজুরি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই