এইচএসসির ফল ‘চ্যালেঞ্জ’ সাড়ে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থীর
২৮ জুলাই ২০১৮ ২০:১৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: এইচএসসি পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফল না পেয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে আপত্তি জানিয়েছেন ১৭ হাজার ৭৪০ জন শিক্ষার্থী। তারা আটটি বিষয়ের ৬১ হাজার ৬৯৯টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে পাঁচটি বিষয় যাচাই-বাছাই করে আগামী ১৮ আগস্ট সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ।
গত ১৯ জুলাই দেশের সকল শিক্ষাবোর্ডে একযোগে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার পাশের হার ৬২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গত বছর পাশের হার ছিল ৬১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
২০ জুলাই থেকে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। ২৬ জুলাই ছিল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান সারাবাংলাকে বলেন, মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৭৪০ জন শিক্ষার্থী ৮টি বিষয়ে ৬১ হাজার ৬৯৯টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে। আমরা চট্টগ্রামের এ-গ্রেডভুক্ত সেরা শিক্ষকদের দিয়ে উত্তরপত্র আবারও যাচাই করব। তবে কোনোভাবেই পুর্নমূল্যায়ন নয়। অনেক অভিভাবক ও পরীক্ষার্থী বিষয়টিতে বিভ্রান্ত হন। সেজন্য বলছি, পুনঃনিরীক্ষণ হবে, পুর্নমূল্যায়ন হবে।
যে আটটি বিষয়ে ওপর পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়েছে সেগুলো হল- বাংলা, ইংরেজি, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, আইসিটি ও হিসাববিজ্ঞান। এর মধ্যে আইসিটি ছাড়া বাকি বিষয়গুলোর প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র উভয়ের ক্ষেত্রে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জমা পড়েছে।
সূত্রমতে, পুনঃনিরীক্ষণের সর্বোচ্চ আবেদন পড়েছে ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্রে। এরপর রয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়। ইংরেজি প্রথমপত্রে ৬ হাজার ৯২৭টি, দ্বিতীয়পত্রে ৬ হাজার ২২টি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ৫ হাজার ৭৮৩টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন পরীক্ষার্থীরা।
বাংলা প্রথমপত্রে ৪ হাজার ৬২৮, দ্বিতীয়পত্রে ৩ হাজার ৮৮৬, পদার্থ বিজ্ঞান প্রথমপত্রে ৩ হাজার ৫৮৬, দ্বিতীয়পত্রে ৩ হাজার ৪২, রসায়ন প্রথমপত্রে ৩ হাজার ১৭, রসায়ন দ্বিতীয়পত্রে ২ হাজার ৬৭৫, জীববিজ্ঞান প্রথমপত্রে ৩ হাজার ৩২৫, দ্বিতীয়পত্রে ২ হাজার ৬৬৩, গণিত প্রথমপত্রে ২ হাজার ৫৪৭, দ্বিতীয়পত্রে ২ হাজার ৩২৯ এবং হিসাববিজ্ঞান প্রথমপত্রে এক হাজার ৫৩২ ও দ্বিতীয়পত্রে এক হাজার ২৭৭টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আদেবন জমা পড়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান সারাবাংলাকে বলেন, পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে চারটি বিষয় আমরা দেখব। উত্তরপত্রে কোনো প্রশ্ন অমূল্যায়িত থাকলে তা মূল্যায়ন, মোট যোগফল, ভেতরের যোগফলের সাথে কাভার পাতার যোগফল ঠিক আছে কি-না দেখা হবে। এ ছাড়া প্রাপ্ত নম্বরের বৃত্ত ভরাট যথাযথ হয়েছে কি-না সেটা দেখব। তবে পরীক্ষক কোনো উত্তর মূল্যায়ন করে নম্বর দিলে সেটা কোনোভাবেই দ্বিতীয়বার মূল্যায়নের সুযোগ নেই।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই