ঢাবি ক্যাম্পাসে অবাধে চলছে ভারি যান
৩১ জুলাই ২০১৮ ০৯:০৩
।। কবিরুল ইসলাম ।।
ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া বহিরাগত ব্যক্তিরা ক্যাম্পাসে অবস্থান ও ঘোরাফেরা করতে পারবেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু দুই সপ্তাহেও ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অবাধে অনুপ্রবেশ তো রয়েছে, সঙ্গে ক্যাম্পাসের ভেতর বড় বড় গাড়ি পার্কিং ও গাড়ি নিয়মিত চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এতে পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত ২১ জুলাই শনিবার থেকে ২৯ জুলাই রোববার পর্যন্ত সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দেখা গেছে, বড় বড় যানবাহন, তেলের লরী, বিভিন্ন পরিবহনের বাস, লেগুনা ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে চলছে। বিকেল হলেই অসংখ্য ভ্রাম্যমাণ দোকান বসছে। অবাধে এসব যানবাহন চলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দীর্ঘ সময় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঢাকা বিবিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের নির্বিঘ্নে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
ভোগান্তির বিষয়ে জাহিদ উদ্দিন অপু নামের এক ছাত্র বলেন, ‘নীলক্ষেত থেকে ভিসি চত্বর পর্যন্ত জ্যাম লেগেই থাকে। দিনের বেলা বহিরাগত বাস, রাতের বেলা ট্রাক, গরু, মহিষ সব চলাচল করে। ইএমবিএ করতে এসে যেখানে সেখানে গাড়িপার্কিং করে রাখে। দুই-এক টা রেসিং কার ও দেখা যায় মাঝে মাঝে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন অন্যতম দুই ছাত্রী হল রোকেয়া হল ও সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, স্ব-স্ব হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে যেতে তাদের অনেক বেগপোহাতে হয়।
তাহমিনা আক্তার নামে রোকেয়া হলের এক ছাত্রী বলেন, ‘রাস্তার দুই পাশ দিয়ে অনেক দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। সব সময় আশঙ্কায় থাকতে হয় এই বুঝি অ্যাকসিডেন্ট হলো।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হবে। নিরাপত্তা চৌকিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্বপালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয় বাজারঘাট নয়, এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জায়গা। কিন্তু উপাচার্যের এই ঘোষণার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধুমাত্র ফুলার রোডে ধীরে চলার নির্দেশনা সংবলিত কিছু সাইনবোর্ড ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি নেই।’
এ সব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বনী বলেন, ‘বড় গাড়ি চলার কথা নয়। আমি থানায় কথা বলব যাতে ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে ভারি যানবাহন না চলে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন হবে তা আগেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।’
সারাবাংলা/কেকে/একে