স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : ছোট ভাই শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার। কিন্তু ৭৫’ এ ঘাতকদের নির্মম বুলেটে মারা যান শেখ রাসেলসহ আমার পরিবারের সব সদস্য।
‘কেবল আমরা দুই বোন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭৫তম বিএম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্রথম ব্যাচের অফিসারদের কমিশন প্রাপ্তির সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐদিন বঙ্গবন্ধু নবীন সামরিক অফিসারদের নৈতিক গুণাবলি সম্পন্ন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। সেদিনের সেই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বক্তব্য এবং ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতির অনুসরণে বর্তমান সরকার ‘ফোর্সেস গোল’ তৈরি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের এসেও আওয়ামীলীগ সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির দিক থেকে এক দশক আগের সেনাবাহিনীর থেকে বর্তমান বাহিনী অনেক বেশি চৌকশ। এই একাডেমিকে অত্যাধুনিক করতে সরকার আরও কাজ করে যাচ্ছে।
নতুন কমিশন প্রাপ্ত ক্যাডার ও অফিসারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদের ওপর রয়েছে দেশ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এটাকে প্রধান ও প্রথম ব্রত করতে হবে। মনে রাখতে হবে অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে কাজ করে যেতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেন, বিশ্বে সকলে শান্তির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে। তিনি এও উল্লেখ করেন, দেশের সকল প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা বিষয়ে সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, কারও কাছে হাত পেয়ে নয় আমরা মাথা উঁচু করে চলতে চাই।
সারাবাংলা/এমএ/একে