Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ দিন ধরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা রিপন, গুমের অভিযোগ পরিবারের


৩ আগস্ট ২০১৮ ২৩:২৬

।। সাদ্দাম হোসাইন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডা ইউনিয়নের (দক্ষিণ) বিএনপি নেতা এ কে এম জিয়াউল হাসান রিপনকে (৪৫) গুম করার অভিযোগ করেছেন তার স্বজনেরা। তবে রিপন গুম হয়েছেন না আত্মগোপনে রয়েছেন তা রহস্যময় বলে দাবি করছে পুলিশ।

গত ১ আগস্ট বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন রিপন। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে ২ আগস্ট বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ১০৪) করেছে তার ছোট ভাই রানা। কিন্তু তারপরও তার সন্ধান না মেলায় গুমের ধারণা করছেন তারা। তবে কে বা কারা জড়িত রয়েছে এমন কোনো সন্দেহে করতে পারছেন না তারা।

জিয়াউল হাসান রিপন দক্ষিণ বাড্ডার আনন্দনগর এলাকার ১৪২৩ নাম্বার বাসায় দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। তার পিতার নাম জহুরুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ বাড্ডা ইউনিয়নে বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করছেন। পেশায় তিনি ঠিকাদার।

স্ত্রী শারমীন আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘রিপন গত ১ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ব্যবসায়ী কাজে রাজধানীর রমনার পিডিবি অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বিকালেও বাসায় ফিরে না আসায় তার মোবাইলে ফোন করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এতে আমাদের সন্দেহে বেড়ে যায়।’

তিনি জানান, এরপর তারা হাসপাতাল, আত্মীয়-স্বজনের বাসাসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। পরে তার স্বামীর খোঁজ না পেয়ে পরদিন বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তারা। তার অভিযোগ, তার স্বামী রিপনকে কেউ গুম করেছে। এজন্য তিনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতা চান।

নিখোঁজ রিপনের ছোট ভাই জাকিউল হাসান রানা সারাবাংলাকে বলেন, ‘তার ভাইয়ের সঙ্গে এলাকায় কারও কোনো বিরোধ ছিল না। এমনকি পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্বও ছিল না। এ কারণে কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না। বাড্ডা থানায় দায়ের করা জিডি তদন্তের জন্য আফতাবনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কামরুল হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত সঠিক কোনো তথ্য জানাতে পারেনি।’

বিজ্ঞাপন

রানা আরও জানান, ভাইয়ের সন্ধান পেতে জিডির একটি কপি র‌্যাব-১ এর কাছেও দেওয়া হয়েছে। বড় ভাইয়ের এভাবে নিখোঁজ থাকার ঘটনায় আমরা পরিবারের সবাই চিন্তিত। এ ব্যাপারে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

বাড্ডা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পরিবারের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে তার নাম্বার ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘তার পরিবার জিডি করার পর আমরা তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি চেক করে দেখলাম তিনি রমনা বিদ্যুৎ অফিসে ছিলেন তিন ঘণ্ট। তারপর ১ ঘণ্টা ছিলেন শিল্পকলায়। এরপর তার ফোন বন্ধ। এ অবস্থায় তাকে গুম করা হয়েছে নাকি সে আত্মগোপন করেছে সে বিষয়ে সন্দেহ হচ্ছে। তবুও তাকে খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে।’

সারাবাংলা/এসএইচ/এমও

গুম বিএনপি

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর