Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গাড়ির দরজায় পা আটকে ব্যাথা পান শহিদুল’


৮ আগস্ট ২০১৮ ১৮:৩৭

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: গাড়ির দরজায় পা আটকে গেলে শহিদুল আলম পায়ে ব্যাথা পান বলে জানিয়েছেন তার পার্টনার রেহনুমা আহমেদ। গত রোববার (৫ আগস্ট) রাতে শহিদুলকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে বলেই জানান তিনি।

শহিদুল আলম নিজেই সোমবার (৬ আগস্ট) বিষয়টি মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) বলেছেন বলেও জানিয়েছেন রেহনুমা।

বুধবার (৮ আগস্ট) শহিদুলকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে এসব কথা বলেন রেহনুমা। এ সময় রেহনুমাসহ শহিদুলের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।

রেহনুমা আহমেদ বলেন, গত পরশু (৬ আগস্ট) তাকে (শহিদুল আলম) সিএমএম কোর্টে (মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত) নেওয়া হলে তিনি সেখানে বলেছেন, তাকে তুলে নেওয়ার সময়েরও বর্ণনা দিয়েছেন।

বিএসএমএমইউয়ে শহিদুল আলম

দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা ঢুকে জোর করে শহিদুলকে লিফটে করে নিচে নেমে যায় বলে জানান রেহনুমা। তিনি বলেন, তখন সে চিৎকার করছিল। তাকে গাড়িতে ওঠানোর সময় গাড়ির দরজায় তার পা আটকে ছিল, দরজা লাগানো যাচ্ছিল না।

রেহনুমা এও দাবি করেন, পা আটকে গেলেও জোর করা হচ্ছিলো।

ঘণ্টা দুয়েকের মতো শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জানিয়ে রেহনুমা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হয়। মোসাদ এজেন্ট হিসেবে তাকে ক্লেইম করা হবে বলে হুমকি দেয়। আমাকে তুলে নেওয়ার হুমকিও দেয়। বলা হয়, ‘রেহনুমাকে আমরা তুলে নেব।’

শহীদুল আলম, শহীদুল আলম রিমান্ড

ডিবি কার্যালয়ে শহিদুল আলম

রেহনুমা আহমেদ বলেন, আমাকে প্রেস কনফারেন্স থেকে ডেকে নেওয়ার পর বলা হয়েছে, একটা বন্ড সই করলে ওকে (শহিদুল) রিলিজ করা হবে। কিন্তু অনেকক্ষণ বসে থাকার পর একজন এসে বলেন, ওর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

শহিদুল আলমকে বিএসএমএমইউ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ফের পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক।

পরে সারাবাংলা’কে শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া নিশ্চিত করেছেন, সিএমএম আদালতে এই কথাগুলোই বলেছিলেন তিনি।

এর আগে, রোববার রাতে শহিদুল আলমকে নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরদিন সোমবার তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান। পরে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই রিমান্ড আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট করেন শহিদুলের পার্টনার রেহনুমা। রিট শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট শহিদুলকে দ্রুত বিএসএমএমইউয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/জেএ/টিআর

বিএসএমএমইউ রেহনুমা আহমেদ শহিদুল আলম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর