Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের শঙ্কার কারণ নেই’


২৫ আগস্ট ২০১৮ ১৪:০৩

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের যারা এখনও চামড়া বিক্রি করতে পারেননি, তাদের লোকসানের আশঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘যারা মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী, তারা যদি চামড়াকে সঠিকভাবে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করেন, তাহলে সেটি দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত ভালো রাখা সম্ভব। এ সময়ের মধ্যে আমাদের ট্যানারির প্রতিনিধিরা সেগুলো ন্যায্য দাম দিয়ে কিনে নেবে। এজন্য তারা যেন তাড়াহুড়ো না করে,তা সে অনুরোধ করছি।’

শনিবার (২৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জিগাতলায় বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহীন আহমেদ বলেন, ‘মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা যদি সঠিকভাবে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, তাহলে আমাদের প্রতিনিধিরা আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন হাট ও মোকামে গিয়ে চামড়াগুলো সংগ্রহ করবেন। তাই মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বলব, আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না। যদি তারা উপযুক্তভাবে চামড়া সংরক্ষণ করে রাখেন, তবে তারা ন্যায্য দামই পাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চামড়া সংগ্রহে আমাদের এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আমরা ৫৫ থেকে ৫৫ লাখ গরুর চামড়া এবং ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ছাগলের চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। এরই মধ্যে আমাদের সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে বলে মনে করছি। এছাড়া আমাদের গত বছরের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ চামড়া এখনও অবিক্রিত রয়ে গেছে। সে কারণে ট্যানারিতে চামড়ার চাহিদা একটু কম আছে। তবুও আমরা সব চামড়া সংগ্রহ করে সংরক্ষণের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের এই সভাপতি বলেন, আমরা পুঁজি সংকটে ভুগছি। আর্থিকভাবে আমরা সরকারি কোনো সাহায্য পাইনি। স্থানান্তরিত ট্যানারিতে আমরা এখনও উপযুক্তভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি। যে কারণে এ শিল্পে একধরনের অস্থিরতা রয়েছে। বিসিক এখনও আমাদেরকে উপযুক্ত উৎপাদন ব্যবস্থাপনা দিতে পারেনি। যে কারণে এ শিল্প ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত ৩০ বছরে কাঁচা চামড়ায় ধস নেমেছে— গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা বলব, এটা ঠিক নয়। বরং এ ধরনের খরব চাউর হলে চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা অনুরোধ করব, সীমান্ত রক্ষীবাহিনী যেন আরও অন্তত একমাস কড়াকড়ি আরোপ করে থাকেন, চামড়ার কোনো ট্রাক যেন সীমান্তমুখী না হয়। চামড়া যেন পাচার না হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাজাকাত হারুন, সহ-সভাপতি ইলিয়াসুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক সাখায়াত উল্ল্যাহ ও কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

গুলশানে দুইজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫

ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

সম্পর্কিত খবর