জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে গণশুনানির সুপারিশ
২৯ আগস্ট ২০১৮ ১৫:৪৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে বেশকিছু সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। কমিটির সদস্যরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদর দপ্তরসহ মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে নিয়মিতভাবে গণশুনানি আয়োজনের ব্যাবস্থা করতে সুপারিশ করেছেন।
এছাড়া শরীয়তপুর জেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে ভাঙ্গণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও সুপারিশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বৈঠকে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের জন্য বরাদ্দের টাকা সময় মতো অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ছাড় না দেওয়ার কারণে অনেক প্রকল্পের কার্যক্রম আংশিক হয়েছে। অনেকগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। কমিটি অর্থমন্ত্রীর কাছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে এবং যথাসময়ে অর্থ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (২৯ আগস্ট) দশম জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ৩২তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ, আবদুর রউফ এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে অনিয়ম দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে। কোথায় কোন প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে তার সঠিক তদরকি না থাকায় অনেক সময়ই প্রকল্প পরিদর্শনে নিয়ে বিপাকে পড়ছেন কর্মকর্তারা। এ কারণে এখন থেকে প্রতিটি কাজের সাইটে প্রকল্পের নাম, কাজের নাম, প্রাক্কলিত ব্যয়, চুক্তিমূল্য, কাজ শুরু ও সমাপ্তির তারিখ, ঠিকাদারের নাম, ঠিকানা, মোবাইল ফোন নম্বর, সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও শাখা কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর সম্বলিত সাইন বোর্ড দৃশ্যমান স্থানে স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক কর্মকাণ্ড, শরীয়তপুর জেলার পানি ব্যবস্থাপনা, নদী ভাঙ্গন রোধসহ চলমান ও ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে ২০১৬ সালের বর্ষা মৌসুমে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় সর্বমোট ১৫টি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে, ১০টি গ্রাম আংশিকভাবে, ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, ১০টি মসজিদ, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, অন্যান্য ধর্মীয় উপসনালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে প্রায় ৪০০০ পরিবার ঘর-বাড়ী হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে বলেও আলোচনায় উঠে আসে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন