আন্দোলনে ঘেরাও, অবরোধ, মানবপ্রাচীরের কথা ভাবছে নয়া জোট
২৯ আগস্ট ২০১৮ ২৩:০৭
।। আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি ও নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজানোর দাবি নিয়ে আসছে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে ড. কামাল হোসেন ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন নতুন জোট। জোটের নেতারা বলছেন, শুরুতে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সামাজিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এরপর আসবে হার্ডলাইনের কর্মসূচি। এর মধ্যে ঘেরাও, অবরোধসহ মানবপ্রাচীর তৈরি এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা আছে তাদের।
জোট সূত্র জানায়, এসব কর্মসূচি পালন করার আগে খুলনা, সিলেট, জামালপুর, টাঙ্গাইল, লক্ষ্মীপুর ও ঝালকাঠি জেলায় জনসভা করবে যুক্তফ্রন্ট। এছাড়া রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর মধ্যে ২২ সেপেন্টম্বর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মহাসমাবেশে যুক্তফ্রন্টের নেতারা অংশ নেবেন। ওই সমাবেশ থেকেই হার্ডলাইনের কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে বলেও সূত্রটি আভাস দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, কর্মসূচি ঠিক করার জন্য গতকাল মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) ড. কামাল হোসেনের বাসয় অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা একটি সাব-কমিটি করে দেন। এই কমিটির নেতারা কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে এখনও কোনো বৈঠক করেনি। তবে শিগগিরই এই কমিটি একটি বৈঠক করে থিওরিটিক্যাল বা একাডেমিক কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। এই কর্মসূচিতে সরকার দাবি না মানলে দেওয়া হবে মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচি। তবে সাবকমিটির সিদ্ধান্তের পর যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করে সেসব কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন।
এসব বিষয়ে জানতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তফ্রন্টের সাবকমিটির সদস্য আব্দুল মালেক রতনের সঙ্গে যোগাযোগকরা হলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সাব-কমিটি এখনও বৈঠক করিনি। শিগগিরই বৈঠক হবে। শুরুতে আমরা থিওরিটিক্যাল বা একাডেমিক কর্মসূচি দেবো। এরপর পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে হার্ডলাইনের কর্মসূচি ঘোষণা হবে।’
জানতে চাইলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে ২২ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাবশে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ড. কামাল হোসেন জাতির উদ্দেশে একটি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। সেখানে তিনি নিরপক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন ও মজাদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিষয়টি থাকতে পারে তার বক্তব্যে।’
যুক্তফ্রন্টের আরেক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎও চাওয়া হতে পারে। অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করতে তার হস্তক্ষেপ কামনা করতে পারেন যুক্তফ্রন্ট নেতারা।’
আরও পড়ুন-
ড. কামালের বাসায় রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যুক্তফ্রন্ট নেতারা
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেতৃত্বে ড. কামাল-বি চৌধুরী
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ড. কামাল হোসেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী বি চৌধুরী যুক্তফ্রন্ট