‘জনবিচ্ছিন্ন আ’লীগ ইভিএমের ওপর ভর করতে চায়’
৩০ আগস্ট ২০১৮ ১৪:১৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ওপর ভর করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ইসির সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল, সংগঠন, নাগরিক সমাজ ও নির্বাচন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। সবার মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা পূরণে তড়িঘড়ি করে ইভিএম ব্যবহারের দিকে এগোচ্ছে। আমরা মনে করি, জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন ইভিএম’র ওপর ভর করছে।’
ইভিএম মেশিন কেনার উদ্যোগ বাদ দিয়ে এই খাতের চার হাজার কোটি টাকা দিয়ে আগামী নির্বাচনে ৪৪ হাজার ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের জনগণ যে কোনো মূল্যে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের অপতৎপরতা প্রতিহত করবে।
ফখরুল বলেন, ‘হঠাৎ করে কি ঘটলো, কার নির্দেশে এবং কাকে বিজয়ী করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসি গোপনে এই বিতর্কিত ও সারাবিশ্বে পরিত্যক্ত ইভিএম যন্ত্র কেনার জন্য উঠে পড়ে লাগল? এই বিতর্তিক যন্ত্র কেনার জন্য ব্যয়িত অর্থ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত দায় হিসেবে গণ্য হবে। এই অপকর্মের দায়ভার সম্পূর্ণ ইসিকেই বহন করতে হবে।’
অবিলম্বে ইভিএম যন্ত্র কেনার উদ্যোগ বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ইসির প্রতি জনগণের আস্থাহীনতাকে আর ঘনীভূত করবেন না। এ ডিজিটাল কারচুপির পথ থেকে সরে আসুন। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারি হিসেবে ব্যক্তিগত এই তৎপরতার মূল্য দিতে হবে। ইভিএম পদ্ধতি বন্ধ করা না হলে দেশে যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য ইসিকে দায়ভার নিতে হবে।’
নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আছে কি না আমরা বুঝতে পারছি না। একমাত্র নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন সব কথা বলছেন। মাঝে মধ্যে কমিশনারা সামনে আসেন।’
বিএনপির চলমান ইস্যুকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য ইভিএম বিষয় সামনে নিয়ে আসা হয়েছে কি না এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি সেটা বলব না। সামনে তো একটা নির্বাচন হবেই, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী আমরা সেটা গ্রহণ করি বা না করি সেটা ম্যাটেরিয়াল ইস্যু না।’
এ সময় একজন বিদেশী ইভিএম বিশেষজ্ঞকে ভিডিও কনফারেন্সে নিয়ে আসে বিএনপি। এই বিশেষজ্ঞ ভিডিও কনফারেন্সে ইভিএম এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,লে. জেনারেল (অবঃ) মাহাবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।
আরো পড়ুন : আরপিও পাল্টে ৩৮২৯ কোটি টাকায় তড়িঘড়ির ইভিএম!
সারাবাংলা/এজেড/এসএমএন