রহস্যময় জাহাজের গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ: মিয়ানমারের নৌবাহিনী
১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:১২
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন শহরতলি থংওয়ার উপকূলে ভেসে আসা পরিত্যক্ত জাহাজের রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে দেশটির নৌবাহিনী। তারা বলছে, জরাজীর্ণ এই নৌযানটিকে বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্প এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ায় একে মাঝপথে ফেলে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ দল ‘স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’ নামের জাহাজটিতে উঠে তল্লাশি করে কাউকে পায়নি। ফলে ৫৮০ ফুট দীর্ঘ জাহাজটি ঠিক কীভাবে সেখানে এলো তার কোনো কূলকিনারা করতে পারেননি তারা।
মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে তৈরি হওয়া জাহাজটি প্রায় পুরো পৃথিবীকেই প্রদক্ষিণ করেছে। এএফপি’র খবরে জানানো হয়, মিয়ানমারে জাহাজটি চোখে পড়ার আগে সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী এটি ২০০৯ সালে তাইওয়ান উপকূলে ছিল।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের নৌবাহিনী জানায়, জাহাজটিকে অন্য আরেকটি নৌযানের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। জাহাজটির সামনের অংশে বাধা অবস্থায় কিছু ছেড়া ধাতব তার দেখতে পাওয়া গেছে।
তারা বলছে, মিয়ানমারের উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে একটি টাগবোটের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেটিকে চালিয়ে নেওয়া ১৩ ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট থেকে তারা ওই জাহাজটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো। বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্প এলাকার একটি কারখানায় সেটিকে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। পথিমধ্যে খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে জাহাজটিকে বেধে রাখার ধাতব রশিগুলো ছিঁড়ে যাওয়ায়, সেটিকে ফেলে যান তারা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘ইলেভেন’ এর খবরে বলা হয়েছে, টাগবোটটির মালিক মালয়েশিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এএস