পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে আবু সাঈদের আত্মত্যাগ, বাদ শেখ হাসিনার ছবি
২৮ অক্টোবর ২০২৪ ২২:০৮ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২০
ঢাকা: বিতর্কিত শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেখানে যুক্ত হচ্ছে জুলাই- আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য। সেই সঙ্গে থাকবে আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের নামে একটি নতুন গল্প। আর পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার ছবি ও উদ্ধৃতি বাদ দিয়ে যুক্ত হবে জুলাই বিপ্লবের ছবি ও গ্রাফিতি।
নানা আলোচনা-সমালোচনা আর শিক্ষক-অভিভাবকদের উপেক্ষা করে ২০২২ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল সবশেষ শিক্ষাক্রম। যা দেশের শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ গ্রহণ করতে পারেননি। শিক্ষা পরিবারের বড় অংশকে বাদ দিয়ে প্রণয়ন করা শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরুও করেছিলো সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। সেই বিতর্কিত শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ বলছে, এসকল সংস্কারের পর নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১২ সালের আলোকেই পাঠ্যবই পরিমার্জন হচ্ছে। আর সে পরিমার্জনের কাজ করছে এনসিটিবি। এরই মধ্যে একাধিক বইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যায় যুক্ত করার পরিকল্পনা করছেন তারা। বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে একাধিকবার বৈঠকেও বসছেন। সেসব বৈঠকে জুলাই বিপ্লবের তথ্য চিত্র ও গল্প যুক্ত করার বিষয়ে সর্বসম্মত হয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘পরিমার্জিত পাঠ্যবইয়ে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের তথ্য যুক্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইয়ের পেছনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ ছবি ও উদ্ধৃতি বাদ যাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে মতামত দিয়েছেন। এখন এ নিয়ে কাজ চলছে।’
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই বিষয়ে মানসম্মত লেখা পাঠান। সেসব লেখা পেলে বইয়ে যুক্ত হবে। ২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের আলোকেই আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের পাঠ্যবই ছাঁপা হচ্ছে। এরইমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই ছাপার জন্য প্রেসে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি শ্রেনির বইও যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে বই ছাপার কাজ শেষ করে বছরের শুরুতেই পরিমার্জিত বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে।’
উল্লেখ্য, প্রতি বছর স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৮৯ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ২৩ কোটি কপি বই ছাপায় এনসিটিবি। ডিসেম্বরের মধ্যে বই ছাপিয়ে বছরের প্রথমে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই হাতে পৌঁছানোর লক্ষ নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
সারাবাংলা/জেআর/এইচআই