ঢাকায় ছাপানো লাখ রুপির দাম সীমান্তে ২৫ হাজার টাকা!
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:০৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় বসে ছাপানো হতো জাল রুপি (ভারতীয় মুদ্রা)। সেগুলো ছাপা হওয়ার পর বিক্রি হতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংলগ্ন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে থাকা ভারতীয় ঠিকাদারদের কাছে। তারা সেগুলো নিয়ে বিক্রি করত ভারতে। এভাবেই দীর্ঘ দিন ধরে জাল রুপির ব্যবসা চালিয়ে আসছিল একটি চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সেই চক্রের মূল হোতা শামছুল আলমকে (৪৪) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)-২।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে মোহাম্মদপুরের শ্যামলী রিং রোড এলাকার গার্ডেন স্ট্রিটের বাসা থেকে শামছুলকে আটক করা হয় বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আলী।
তিনি জানান, এসময় ১৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকার সমমূল্যের জাল রুপি উদ্ধার করা হয়েছে শামছুলের কাছ থেকে। জাল রুপি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, আটক সামছুল আলমের বাবা মৃত রবিউজ্জামান। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকায়। রিং রোডের গার্ডেন স্ট্রিটের ওই বাসায় দীর্ঘ দিন ধরে তিনি জাল রুপি তৈরি করে আসছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
র্যাব-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আলী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় শামছুলকে। ওই সময় সে জাল রুপি ছাপানোর কাজ করছিল। তাৎক্ষণিকভাবে তার কাছে ১৫ লাখ ৭৪ হাজা টাকা সমমূল্যের জাল রুপি পাওয়া যায়। আরও রুপি ছাপানো অবস্থায় তাকে আমরা আটক করি।
মেজর মো. আলী আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শামছুল জানান, চাঁপাইনবাবঞ্জের সীমান্ত এলাকায় একলাখ রুপির একেকটি সেট বিক্রি করতেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। সেগুলোর নিয়মিত ক্রেতা ভারতীয় এক শ্রেণির ঠিকাদার। তারা সেগুলো নিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করত।
শামছুল এর আগে ২০১৭ সালেও একবার একই অপরাধে আটক হয়েছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছে। পরে জামিন পেয়ে তিনি ফের একই কাজে নেমে পড়েন। এখন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর