অবশেষে সংরক্ষণ করা হচ্ছে মেহেরপুরের টেপুখালী বধ্যভূমি
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:০৭
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
মেহেরপুর: স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর সংরক্ষণ হচ্ছে টেপুখালী বধ্যভূমি। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি টেপুখালীর এই মাঠে একাত্তরে মুক্তিকামী অনেক মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। শুক্রবার(৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বধ্যভূমির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। বধ্যভূমির জমির মালিক সাহারবাটি গ্রামের দুই কৃষক। সম্প্রতি জমির মালিকদের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকায় জমি ক্রয় করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। ব্যক্তিগত অর্থে কেনা জমি তিনি বধ্যভূমির নামে রেজিস্ট্রি করেছেন। এরপরেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এলজিইডি মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসমূহ সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করবে এলজিইডি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন সাংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্তাজ আলী, এলজিইডি মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দীন সর্দার, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষ্ণুপদ পাল, উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম ও জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি একেএম শফিকুল আলমসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গ, ১৯৭১ সালের ১৭ জুলাই পাক হানাদার বাহিনী ধর্মচাকী ও নওপাড়া গ্রাম থেকে মুক্তিকামী অনেক মানুষকে ধরে এনে টেপুখালী মাঠে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। পাক বাহিনী এলাকা ছাড়ার পর কয়েকদিন পরে স্থানীয় লোকজন দু’টি কবরে বেশ কয়েকটি মরদেহ পুতে রাখে।
সারাবাংলা/এনএইচ