নববর্ষে ঢাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৮:৪৮
উজ্জল জিসান
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের (থার্টি ফার্স্ট নাইট) রাতে সবধরনের উশ্ছৃঙ্খলতা- নাশকতা ঠেকাতে ঢাকায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, রাস্তায় তল্লাশি চৌকি বসানো, র্যাব-পুলিশের পেট্টোল টিম ও পোশাকধারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীল সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় হইচই গ্যামজ্যাম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে ওইসব জায়গায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। রাস্তায় বা উম্মুক্ত স্থানে কেউ কোনো অনুষ্ঠান করতে পারবে না। পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসিয়ে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি কার্যক্রম করছেন। এছাড়া সারারাত পেট্টোল টিম মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, র্যাবের তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। কোথাও কোনো নাশকতার সন্ধান পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা প্রতিহত করা হবে। ঢাকাকে এবং দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঠিক রাখতে র্যাবের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, সারাদেশে পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ রয়েছে যাতে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
গত শনিবার ডিএমপি কমিশনার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট পাহারায় বিশেষায়িত টিম সোয়াট কাজ করবে। সেই অনুযায়ী সোয়াত এরই মধ্যে মাঠে কাজ শুরু করেছে বলে সোয়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, রাজধানীর গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মিরপুর, উত্তরা, শাহবাগ, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় র্যাব ও পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এ তল্লাশি রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকাসহ দেশের কোথাও নাশকতার কোনো তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে নেই। এরপরেও সবাই সচেতন থাকবে এটাই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/একে